শতভাগ টিকার আওতায় আনতে কাজ করছে ডিএনসিসি
টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে ‘ডিএনসিসিতে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়’ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বে রোল মডেল। টিকাদান প্রক্রিয়া আরও কীভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে। এজন্য টিকাদানে ডিএনসিসির সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কোনো শিশু যেন বাদ না যায়, তাই সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচিকে আরও ভালোভাবে মনিটর করার পাশাপাশি শিশুদের সুরক্ষায় টিকাদান কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে গ্যাভি সিএসও’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টিকাদান কার্যক্রমে তুলনামূলক সফলতা অর্জন করলেও বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে আছে। যার মূল কারণ টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত টিকার অভাবের পাশাপাশি অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যা অনেক শিশুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সমস্যা সমাধানে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদন করা জরুরি। অবস্থান ভেদে নতুন পদ সৃষ্টি এবং সেখানে জনবল নিয়োগ এবং কার্যকর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে টিকাদান প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি ও এএইচ) ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ডিনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
/এমএ/এসবি/