ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ডেঙ্গু রোগীর আশপাশের এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২২, ১৬ মে ২০২৪  
ডেঙ্গু রোগীর আশপাশের এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সভায় মেয়র ও কাউন্সিলরগণ

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনে দ্বিতীয় পরিষদের ২৭তম কর্পোরেশন সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে হবে। কাউন্সিলরদের আহ্বান করছি, আপনারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে যাবেন, খোঁজ নেবেন। আশপাশের মানুষদের সচেতন করবেন।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করার পাশাপাশি সচেতনতামূলক র‍্যালি করতে হবে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, এজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি৷ 

তিনি বলেন, জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে— এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে। সেজন্য প্রত্যেকের ঘর-বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোডে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। 

কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র আরও বলেন, দখল হওয়া খাল উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার যার এলাকায় খাল দখল রয়েছে এবং দখলদার কারা, আমাকে জানান। আপনারা তথ্য দেবেন, সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে খাল দখলমুক্ত করা হবে। খাল দখলদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

গত বারের মতো এবারও ডিএনসিসি এলাকায় কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

এমএ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়