ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

মেয়রদের সঙ্গে মতবিনিময়

শহরে দরিদ্রবান্ধব উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ৩০ মে ২০২৪  
শহরে দরিদ্রবান্ধব উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের লাইভলিহুডস ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পুওর কমিউনিটি (এলআইইউপিসিপি) প্রকল্পের আয়োজনে ‘মেয়রস নলেজ এক্সচেঞ্জ ওয়ার্কশপ অন এলআইইউপিসিপি গুড প্র্যাকটিস’ শীর্ষক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ১৯টি শহরে এলআইইউপিসিপি প্রকল্পের প্রভাবে দরিদ্রবান্ধব এবং জলবায়ু-সহনশীল নগর উন্নয়নের নানা ভালো চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। 

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারত্নে উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, সরকার আমাদের শহুরে সহিষ্ণুতা কর্মসূচির সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছে। এখানকার নারীরা কত দারুণভাবে তাদের শহর ও শহরের বাসিন্দাদের নানা সমস্যার সমাধান করছ, এটি তারই প্রামাণ। 

‘অধিবাসীদের ক্ষমতায়নের ভালো অনুশীলন এবং জলবায়ু-সহনশীল পরিকাঠামোর জন্য স্থানীয়ভাবে পরিচালিত পদ্ধতি’ শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় পদক্ষেপই জাতীয় সাফল্যের চাবিকাঠি। সুবিধাবঞ্চিত অধিবাসীদের নেতৃত্বে উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি দরিদ্রবান্ধব নগর উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

চাঁদপুরের মেয়র মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এলইউআইপিসিপি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা শহর পর্যায়ের কমিটিতে নারীদের অংশগ্রহণের কারণে শহুরে দরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছেছি।

চাঁদপুর টাউন ফেডারেশনের চেয়ারপার্সন নাজমা আলম বলেন, আমাদের কণ্ঠস্বর শোনানো সহজ ছিল না। এমন একটি জায়গা তৈরি করার জন্য এলইউআইপিসিপি প্রকল্প এবং পৌরসভাকে ধন্যবাদ।

প্রধান অতিথি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হতে চাই। এই উন্নয়নযাত্রায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। আগামী দিনগুলোতে এই কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করার জন্য আমারা উন্মুখ হয়ে আছি।

স্টেফান লিলার বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব প্রায় দুই দশকব্যাপী, যা শহুরে দারিদ্র্য হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনের একটি শক্তিশালী মডেল প্রদর্শন করে। 

এলইউআইপিসিপি প্রকল্প থেকে শেখার বিষয়ে ম্যাট ক্যানেল বলেন, বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাজ্য সরকার এবং ইউএনডিপির মধ্যে অংশীদারত্ব দেখে আমি আনন্দিত যে, বাংলাদেশের ৪০ লক্ষ শহুরে দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম এলআইইউপিসি প্রকল্পকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকার এবং ইউএনডিপি-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামী বছরগুলোতে আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। 

সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, উন্নয়ন সহযোগী, সরকারি নানা সংস্থা, এনজিও, আইএনজিও এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অংশীদারদের সমন্বয়ে প্রায় ১২০ জন এ কর্মশালায় অংশ নেন।

এলআইইউপিসি প্রকল্প দরিদ্রবান্ধব জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট নগর উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শহরের প্রায় ৪০ লাখ দরিদ্র অধিবাসীর কাছে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে অধিবাসীদের ক্ষমতায়ন, সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন, অভিযোজিত জীবিকা, উন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থা, জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো ও দরিদ্র-সমর্থক পরিকল্পনা এবং পৌর শাসনে বেশকিছু ভালো উদাহরণ তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে।

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়