ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

পশুর হাটে এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১২ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৩:২০, ১২ জুন ২০২৪
পশুর হাটে এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

কোরবানির ঈদের বাকি আর চার দিন। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসছে কোরবানির পশুর হাট। তবে হাটগুলোতে এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। আর দুই এক দিন পরই বিক্রি বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। 

রামপুরা খাল সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী মেরাদিয়া কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পশু বেচাকেনাও শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হাট জমে ওঠেনি।

জানা গেছে, রোববার (৯ জুন) থেকে হাটটিতে কোরবানির পশু আনতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ী ও খামারা। ইতিমধ্যে হাসিল ঘর, কন্ট্রোল রুম, পশু চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ। মেরাদিয়া পশুর হাটে এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ি, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু নিয়ে এ হাটে আসছেন। পশুগুলোর মধ্যে অধিকাংশই দেশীয় গরু। ছাগল নেই বললেই চলে। হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত স্থানে রাখছেন পশুগুলো। তবে এখনও হাট তৈরির প্রস্তুতির কাজ চলছে তাই বিশুদ্ধ খাবার পানি ও  টয়লেটের পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এতো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা জানান, মহাসড়কে যানজট ও ভালো স্থান পেতে হাট শুরুর আগেই এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে তাদের খরচ একটু বেশি হলেও সস্তিতে আছেন। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেরাদিয়া পশুর হাটে ছোট সাইজের গরু ৭০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। মাঝারি সাইজের গরু ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া, বড় সাইজের গরুর ৪ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, এখন শুধু দর্শনার্থীরা পশুর দর দাম করছেন। পশু কিনছেন কম। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার পশুর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশুর দাম এবার কিছুটা বাড়তি বলে জানিয়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

কুষ্টিয়ার গাংনি থেকে মেরাদিয়া হাটে গরু এনেছেন মো. তাজুল ইসলামসহ তার পরিচিত কয়েকজন। 

তিনি বলেন, এবারের কোরবানি ঈদ উপলক্ষে হাটে তাদের মাঝারি থেকে বড় সাইজের ১০০টি গরু আসবে। ইতিমধ্যে ৫০টি গরু এসেছে। এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা খালি গরু দেখে যাচ্ছেন। আর যারা দাম বলছেন, তা চাওয়া দামের চেয়ে অনেক কম। ২০ থেকে ২২ মণ ওজনের একটি গরুর দাম চেয়েছি ৮ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা বলেছে ৩ লাখ টাকা। গতবারের চেয়ে এ বছরে গোখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। তাই পশুর দাম কিছুটা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী মো. হাফিজ বলেন, প্রতিদিন গরুবোঝাই ট্রাক হাটে আসছে। আমরা আজকে সকালে হাটে এসেছি। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে বেচাকেনা শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু এনেছেন ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এবার কোরবানি ঈদ উপলক্ষে হাটে ১১টি গরু এনেছি। ছোট থেকে মাঝারি সাইজের গরু আনা হয়েছে। এগুলোর দাম ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। এখনও কোনো গরু বিক্রি হয়নি। ক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি চলছে।

মেরদিয়া হাটের ইজারাদার আবু সাইদ রাইজিংবিডিকে বলেন, কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। ইতিমধ্যে হাটে পশুতে ভরে গেছে। দু’এক দিনের মধ্যেই বেচাকেনা জমে উঠবে। 

ঢাকা/এনটি/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়