ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হলেই কাউন্সিলর পাবেন স্বর্ণপদক

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ১৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৯:৩০, ১৩ জুন ২০২৪
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হলেই কাউন্সিলর পাবেন স্বর্ণপদক

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল কাউন্সিলরদের স্বর্ণপদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির যে ওয়ার্ডগুলোতে কেবল শূন্যসংখ্যক ডেঙ্গুরোগী থাকবে তাদের এই পদক দেয়ার ঘোষণা দেন মেয়র।  

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ২৮তম কর্পোরেশন সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ডিএনসিসি'র সব ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কাউন্সিলররা নিয়মিত নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা ও র‍্যালির আয়োজন করছেন। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক সিজন হিসেবে ধরা হয়। উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে জরিপে যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা শূন্য থাকবে, সেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক দেয়া হবে। পাশাপাশি পুরস্কৃত করা হবে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীদেরও। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ঠিক করে এটি বাস্তবায়ন করবে। 

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, গত কোরবানির ঈদে বর্জ্য অপসারণে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে আমরা সফল হয়েছিলাম। পূর্ব ঘোষিত ৮ ঘণ্টারও কম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ বছর আমাদের টার্গেট ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা। এটি সফল করার জন্য সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। এ সময় আমি নিজেও মাঠে থাকবো।

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, সুষ্ঠুভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসিতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করবেন। পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ঈদের পরে প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হবে। তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই মূলত এই আয়োজন। 

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঈদে কোথাও যেনো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখাসহ প্রকৌশল বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখন থেকেই ড্রেন ও ক্যাচপিট পরিষ্কার রাখতে হবে।

ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। 

 এমএ/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়