ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গের দাম বেড়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১৫ জুন ২০২৪   আপডেট: ১১:৫৮, ১৫ জুন ২০২৪
পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গের দাম বেড়েছে

আর মাত্র এক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তে পশু কিনতে হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার পশু। সেই সঙ্গে হাটের আশপাশের প্রধান সড়কসহ অলিগলির ফুটপাতে বা ভ্যানে করে পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গের সম্ভার নিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বেশিরভাগ ভ্রাম্যমাণ পশুখাদ্যের দোকানগুলো পরিচালনা করছে শিশু ও কিশোররা। তবে মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে কিশোরীরাও এ কাজ করছেন।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর রামপুরা, মেরাদিয়া, বাসাবো ও খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

এসব ভ্রাম্যমাণ পশুখাদ্যের দোকানে শুকনো খড়, খৈল, খড়ের ভুষি, গমের ভুষি, খেসারির ডালের ভুষি, ধানের কুঁড়া, কাঁচা ঘাস, কাঁঠালপাতা, চিটা গুড় ও মোটা লবণ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া কোরবানির অনুষঙ্গ হিসেবে হোগলার চাটাই ও খাটিয়াও বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। 

এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পড়াশোনা বা ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গ বিক্রি করছেন তারা। বাড়তি আয়ের পাশাপাশি আনন্দ ও শখের বসেই তারা এ কাজ করছেন। প্রধান সড়কের পাশে, মোড়ে মোড়ে ও অলিগলির ফুটপাত, রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়িতে করে তারা পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গ বিক্রি করছেন।

আকারভেদে আঁটিপ্রতি শুকনো খড় ২০ থেকে ৪০ টাকায়, কেজিপ্রতি গমের ভুষি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ভুট্টার ভুষি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ধানের কুঁড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, খৈল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এবং আধা কেজি মোটা লবণ ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকার ভেদে আঁটিপ্রতি কাঁচা ঘাস ৩০-৫০ টাকা ও কাঁঠালপাতা ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। 

এদিকে কোরবানির অনুষঙ্গ হিসেবে আকারভেদে প্রতিপিস হোগলার চাটাই ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং আকারভেদে খাটিয়া ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এর আগের বছর ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় আকারভেদে প্রতিপিস হোগলার চাটাই বিক্রি হয়েছে। আর আকারভেদে খাটিয়া ২০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিলো। 

দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় চারতালার মোড়ে পশুখাদ্য বিক্রি করছে স্কুল পড়ুয়া শান্ত ও সুমন। তারা জানায়, প্রত্যেক ঈদে তারা পশুখাদ্যে মৌসুমি ব্যবসা করে। বাবার টাকা এবং নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে তারা এই মৌসুমি পশু খাদ্যের ব্যবসা করে। বেচা-বিক্রি ভালো হয় তাদের। ঈদের আগের দিন আরও বেশি বিক্রি হবে বলেও বিশ্বাস তাদের। 

রামপুরা মেয়াদিয়া এলাকায় হাট সংলগ্ন ফুটপাত ও ভ্যানে করে কোরবানির অনুষঙ্গ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান সাজিয়েছেন দুই ভাই আলম ও শাহজাহান। তবে শাহজাহানের মেরাদিয়া এলাকাতে চায়ের দোকান রয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক তারা এই মৌসুমি ব্যবসা করছেন। তারা জানান, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে তারা প্রতিবছর কোরবানির অনুষঙ্গ বিক্রি করেন। এতে তাদের বাড়তি আয় হয়। গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির অনুষঙ্গের দাম কিছুটা বেশি। তবে এখনও বেচা-বিক্রি কম রয়েছে। ঈদের আগের রাতে বেচা-বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।

ঢাকা/এনটি/ইমন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়