ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ঈদের আগের দিনে স্বস্তির বাসযাত্রা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ১৬ জুন ২০২৪  
ঈদের আগের দিনে স্বস্তির বাসযাত্রা

পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন রোববার (১৬ জুন) বাসযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। কোনোরকম ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে গেছেন অসংখ্য মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা আগে থেকেই সড়কপথে স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পেরেছেন। উত্তরবঙ্গের পথে কিছুটা যানজট থাকলেও রোববার তা দেখা যায়নি। ভাড়াও কমেছে। যাত্রী কম থাকায় অনেক বাসে আসন খালি ছিল।

রোববার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত বাস আছে, কিন্তু যাত্রী তুলনামূলক কম। মূলত, শনিবার বা তার আগেই ঢাকা ছেড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। যারা বিভিন্ন কারণে যাননি, তারা আজ যাচ্ছেন। তবে, সে সংখ্যা অনেক কম। আগামীকাল ঈদের দিনও কিছু মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারেন। তাদের জন্য বাসসেবা চালু থাকবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে মূলত উত্তরবঙ্গের বাসগুলো ছেড়ে যায়। টাঙাইল, শেরপুর, রংপুর, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ বিভিন্ন জেলাগামী যাত্রীরা আসেন এখানে। বিভিন্ন কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের দিন শনিবারের তুলনায় আজ যাত্রী কম।

নেত্রকোনা রুটের বাস সার্ভিস নেত্র পরিবহনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শনিবারের টিকিট যে পরিমাণে বিক্রি করেছেন, তার ১০ ভাগও আজ বিক্রি হয়নি। তারা মনে করছেন, অন্তত ৫০ শতাংশ আসন খালি যাবে। 

কেন এমন হলো, জানতে চাইলে কন্ডাক্টর রুহুল আমিন বলেন, কোরবানির ঈদে সবাই চেষ্টা করে একটু আগে বাড়ি যাওয়ার। এজন্য আজ যাত্রী কম। 

তিনি জানান, শনিবারও জনপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া নিয়েছেন। আজ ৫০০ টাকা নিচ্ছেন। অন্য সময়ে এ রুটের বাসভাড়া ৪০০ টাকা।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যায় শ্যামলী বাংলা পরিবহন। এখানে স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ৩০০ টাকা। শনিবারও ৫০০ টাকা করে জনপ্রতি টিকিট কাটতে হয়েছে। আজ তা ৪০০ করে বিক্রি করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে শ্যামলী বাংলা পরিবহনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী বলেন, যাত্রী নেই। এবার মনে হয়, আগেভাগেই সবাই চলে গেছে। প্রতিবার ঈদের আগের দিন আসন এত ফাঁকা থাকত না। এবার বেশি ফাঁকা যাচ্ছে।

ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যায় যেসব পরিবহন, তার মধ্যে অন্যতম অনন্যা। কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল সারাদিনই যাত্রী খুব চাপ ছিল। বিকেলে যাত্রীর চাপ আরো বেশি ছিল। রোববার সকাল থেকে কোনো চাপ নেই। রাস্তা ফাঁকা। ভাড়াও আমরা কম নিচ্ছি।

ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছাড়ে দক্ষিণাঞ্চলগামী পরিবহন। এখান থেকে নড়াইলের ভাড়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। কিন্তু, ঈদযাত্রার কয়েকদিনে এই রুটে দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছেন বাসমালিকরা। কিন্তু, রোববার তা ৫০০-তে নেমে এসেছে। কারণ, যাত্রী কম।

নড়াইল এক্সপ্রেসের বাসচালকের সহকারী জামাল বলেন, এমনিতেই এই রুটে যাত্রী সব সময় লেগে থাকে। বাসও অনেক। তারপরও ভাড়া কিছুটা বেশি নিয়েছি আমরা। তবে, ঈদের আগের দিন তুলনামূলক কম যাত্রী আছে। 

তিনি মনে করেন, বৃহস্পতিবার অফিস করে অনেকে বাড়িতে চলে গেছেন। যারা যেতে পারেননি, তারা শুক্রবার চলে গেছেন। আর বাকিরা শনিবার গেছেন। এজন্য রোববার যাত্রী একেবারে নেই বললেই চলে।

একই পরিস্থিতি দেখা গেছে গাবতলীতেও। ঝিনাইদাহ রুটে চলাচলকারী রয়েল পরিবহনের কর্মী এমদাদ বলেন, যাত্রী অনেক কম। এবার ঈদের ছুটির আগে শুক্র-শনিবার পড়েছে বলে যাত্রীরা আগেভাগে ঢাকা ছাড়তে পেরেছেন। এজন্য আজ যাত্রীর চাপ একেবারেই কম।

পারভেজ/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়