ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

জলবায়ু বস্তুচ্যুতি ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে অক্সফামের আহ্বান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১২, ২০ জুন ২০২৪  
জলবায়ু বস্তুচ্যুতি ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে অক্সফামের আহ্বান

বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ঘটিয়েছে

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এবং গত এক দশকে বাংলাদেশে বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ের মতো জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ১৮ লাখ মানুষের সঙ্কট নিরসন ও পুনর্বাসনে পদক্ষেপ গ্রহণে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফাম। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) অক্সফাম ইন বাংলাদেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

অক্সফামের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো বিপর্যয়কে প্রভাবিত করছে। এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪৬ জেলার কৃষির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা এই সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ তৈরি করেছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ২০১৭ সাল থেকে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ (৯,৮১,০৬৪) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষগুলো শত শত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে সীমানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে, যা দেশের শরণার্থী সঙ্কটে নতুন অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দিচ্ছে অক্সফাম।

অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈষম্যগুলো উন্মোচন করে দিয়েছে। ক্রমাগত জলবায়ু সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে। একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এমন অবস্থায় সঙ্কট নিরসনে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বিশেষত, দূষণকারী ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে হবে এবং বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে যথাযথ জলবায়ু অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ, জলবায়ু অভিযোজন অর্থের প্রয়োজন। দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন।’

পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন বলেও মনে করে অক্সফাম।

দামলে বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সকলকে রক্ষা করতে হবে। তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’

সার্বিকভাবে, বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে একযোগ্য জলবায়ু অন্যায্যতা এবং শরণার্থী সঙ্কট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়