ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৪ জুন ২০২৪  
‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র শুভ উদ্বোধন করেছেন। সোমবার (২৪ জুন) সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্ধোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম লেভেলে স্থাপিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্পীকার ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ এ প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।  

এসময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপি এবং হুইপ সানজিদা খানম এমপি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদের সদস্যগণ ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০ এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালী ইতিহাস। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।

/ঢাকা/এএএম/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়