ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

দেশে মসজিদ আছে সাড়ে ৩ লাখ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ২৫ জুন ২০২৪  
দেশে মসজিদ আছে সাড়ে ৩ লাখ

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের একটি নান্দনিক মসজিদ

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ আছে। এসব মসজিদে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত আছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ধর্মমন্ত্রী জানান, সাড়ে ৩ লাখ মসজিদের মধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা সরকারিভাবে দেওয়া হয়। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ৫৬৪টি মডেল মসজিদে রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন-ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেলে দেওয়া হবে।

তিনি জানান, বর্তমানে সারাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত আছেন। তাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সম্মানি দেওয়া হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে দেশের অন্যান্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণকে পর্যায়ক্রমে সম্মানির আওতায় আনা হবে, ইনশাআল্লাহ। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ন্যূনতম ৫ হাজার ৫০০ জনকে ৪ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। তবে, ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার—এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ট্রাস্টের আয় বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে অনুদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদের ডেটাবেস তৈরীর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

এএএম/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়