ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে থাকা মতিউরদের চিহ্নিত করতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৬ জুন ২০২৪  
‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে থাকা মতিউরদের চিহ্নিত করতে হবে’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে থাকা মতিউরদের ছাগল বা বোবা প্রাণী দিয়ে চিহ্নিত করার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিহ্নিত করতে হবে। বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। 

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ায় অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, বিবৃতির মাধ্যমে কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিচ্ছে।

তিনি বলেন, মতিউরকে দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, এমনকি আমরা যারা রাজনীতিবিদ আছি, তারা চিহ্নিত করতে পারিনি। তাকে একটি বোবা প্রাণী ছাগল চিহ্নিত করেছে। এমন মতিউর আরও আছে কি না, ভবিষ্যতে ছাগল বা অন্য কোনও বোবা প্রাণী চিহ্নিত করার আগে তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সংস্থার।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, তারা যেন এ বোবা ছাগলের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলা, বিবৃতি দেওয়া, পক্ষ নিয়ে প্রকারান্তরে দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তিকে রক্ষার নামে তাদের সংস্থার সকলের ওপর দায়ভার না চাপায়, সেদিকে সকলের সজাগ থাকা প্রয়োজন।

তিনি আররও বলেন, কোনো রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতি বা অপকর্মের অভিযোগ আসে, তখন রাজনীতিবিদরা পদক্ষেপ নেয় বা পক্ষ নেয় না। বরং রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও আইনি বিচারে সোচ্চার হয়। এটাই হলো সৎ রাজনীতিবিদদের মহত্ত্ব। কিন্তু, কখনও আমরা দেখতে পাই— কোনো সরকারি বা বেসরকারি, আধা-সরকারি কিংবা সংস্থা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিশেষ কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যখন আসে, তখন ওই গোষ্ঠী বা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজের পক্ষে সাফাই বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করে। প্রকারান্তরে বিশেষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের দায় কিন্তু ওই সংস্থাগুলো গ্রহণ করে। পুরো সংস্থার ওপর চলে আসে এ দায়। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো দলের বা সংস্থার হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে খেলাপি ঋণ কমাতে হবে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট যারা করে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে এই দুষ্টুচক্র, সর্বগ্রাসী, স্বার্থান্বেষী চক্রের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে।

এএএম/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়