ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

‘বিদায় হজের ভাষণে বিশ্ব মানবতার সব নির্দেশনা ছিল’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৯ জুন ২০২৪  
‘বিদায় হজের ভাষণে বিশ্ব মানবতার সব নির্দেশনা ছিল’

মহানবী (সা.) এর বিদায় হজ ও গদীরে খুম দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিদায় হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশ্যে মহানবী হয়রত মুহাম্মদ  (সা.) এক যুগান্তকারী ভাষণ দেন। এ ভাষণে বিশ্ব মানবতার সকল কিছুর দিক নির্দেশনা ছিল। মুসলমানরা যাতে তাদের দিন থেকে বিচ্যুত না হয় সেজন্য ছিল বিশেষ দিক নির্দেশনা। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেন, তোমরা যতদিন পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি।

ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান আলোচক  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ রাসূল-এ-আকরাম ইসলামিক ইনস্টিটিউট এর  শিক্ষা বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মাদ আলী মোর্তজা। ইমামিয়া ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মন্ডলের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের  সাবেক চেয়ারম্যান  প্রফেসর ড. ওসমান গনী, বগুড়ার আল মাহদী শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম মো. মোজাফফর হুসাইনসহ আরও অনেকে। 

অনুষ্ঠানে গদীরে খুম দিবস উপলক্ষে বক্তারা বলেন,  এ দিন  মহানবী (সা.) হযরত আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ)-কে খিলাফতে অধিষ্ঠিত করেন এবং বলেন, আমি যার মওলা ও নেতা আলী তাঁর মওলা ও নেতা ।

বিদায় হজের কয়েক দিন পর  মহানবী (সা) মহান আল্লাহর নির্দেশে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ) নিজের খলিফা বা প্রতিনিধি বলে ঘোষণা করেছিলেন। দিনটি ছিল দশম হিজরির ১৮ জিলহজ।

বিদায় হজের পর রাসূল (সা.) মদিনায় ফেরার পথে গাদীর-এ-খুম নামক স্থানে আল্লাহর নির্দেশে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হজরত আলীকে (আ) মুমিনদের নেতা বা মাওলা হিসেবে মনোনীত করেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার ৮০ কিংবা ৮৪ দিন পর আল্লাহর রাসূল (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। বিদায় হজ সমাপনের পর তিনি মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন এহরাম পরা অবস্থায়। সঙ্গে ছিল সোয়া লাখ সাহাবি। পথে ১৮ জিলহজ মদিনার কাছাকাছি গাদীর-এ-খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলে পবিত্র কুরআনের শেষ আয়াতের আগের আয়াত তথা সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়।

অনুষ্ঠানে কুইজ পরিচালনা করেন রাজশাহীর মোহাম্মাদ আমীন (সা.) ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান  হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মাদ মাজিদুল ইসলাম।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়