ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

‘শিশু অধিকার সুরক্ষায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববাহক’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ২ জুলাই ২০২৪  
‘শিশু অধিকার সুরক্ষায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববাহক’

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ঐচ্ছিক প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষরে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন আইনপ্রণেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

তারা বলেছেন, শিশু অধিকার সুরক্ষায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববাহক। প্রোটকল-৩ স্বাক্ষরে করলে অধিকার লংঘন, সহিংসতা ও শোষণের শিকার কোনো শিশু ন্যায়বিচার না পেলে সে বা তার সমর্থনকারী জাতিসংঘে অভিযোগ করতে পারবেন। ফলে, আন্তর্জাতিকভাবে বিষয়টির সুরাহা নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে শিশু অধিকার সুরক্ষিত হবে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পার্লামেন্ট মেম্বার ক্লাবে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ‘শিশু অধিকার ও এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল স্বাক্ষর’ বিষয়ে জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। 

আর্টিকেল নাইনটিন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল নাইনটিনের রিজওনাল ডিরেক্টর শেখ মঞ্জুর-ই আলম। আলোচনায় অংশ নেন শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সহ-সভাপতি অ্যারোমা দত্ত, সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, মো. রশীদুজ্জামান, ফরিদা ইয়াসমিন, রুমা চক্রবর্তী ও অনিমা মুক্তি গমেজ; গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ড. জামিল আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের আমিনা খাতুন মনি ও উম্মে হুসনা শবনম খানম এবং আর্টিকেল নাইনটিনের মরিয়ম শেলি ও সালমা পারভীন।  

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত বলেন, সংবিধানে শিশু অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি যুক্ত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার আন্তরিক। এই অবস্থায় প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষর ও তা কার্যকর করতে সরকারের পাশাপাশি ইউনিসেফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উন্নয়ন সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্কুলের বাচ্চাদের বিস্কুট খেয়ে বলেছিলেন, এই খাবার শিশুরা কীভাবে খাবে? বিস্কুটে চকলেট ফ্লেভার যোগ করতে নির্দেশ দেন। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিশু অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে গেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। 

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান—এই মৌলিক অধিকার আমরা সকল শিশুকে দিতে পারিনি। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ সরকার শিশু অধিকার আইন ও সুরক্ষা বিষয়ে যথেষ্ট কাজ করেছে। নিশ্চয়ই আগামী দিনে প্রোটোকল-৩ স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ।

সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিশু ও নারীদের প্রতি সংবেদনশীল। তাদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জায়গা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। অর্থনেতিক কারণে সকল শিশুকে আমরা এক জায়গায় নিয়ে আসতে পারছি না। এই অবস্থা পরিবর্তনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আসাদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়