ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

সুনীল অর্থনীতির গবেষণায় সহায়তা দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৩ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২০:৪৬, ৩ জুলাই ২০২৪
সুনীল অর্থনীতির গবেষণায় সহায়তা দিতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

`বিশ্ব মহাসাগর দিবস` এ আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সুনীল অর্থনীতিকে বাংলাদেশের মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণায় সহায়তা দিতে হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস’ শিরোনামে ব্রেকআউট সেশনে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ‘ওসান প্রোসপারিটি: ক্যাটিলাইজিং ব্লু ইকনোমি ইন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফিলিপাইনের সহকারী অধ্যাপক জন ভার্ডিন, চীনের প্রফেসর উইডং ইউ, থাইল্যান্ডের প্রফেসর সুরিয়ান টুংকিজিয়ানুকিজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের সামনে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সুনীল অর্থনীতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ‘শূন্য’ ছিল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির অভাবের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু 'টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট' প্রণয়ন করেন। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে অ্যাক্ট বা অন্যসব ক্ষেত্রে দেশ এগোতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সুনীল অর্থনীতির খসড়া অনুমোদন করে দিয়েছেন। আমরা সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করব। সুনীল অর্থনীতিকে বাংলাদেশের মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণায় সহায়তা দিতে হবে। গবেষকদের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে। আমরা বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশ সম্পর্কে কথা বলছি। কিন্তু আমাদের পরিবেশ বান্ধব সোনালী আঁশ পাটকে রক্ষা করতে পারিনি। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে হারিয়ে গেছে। যোগ্য নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর পরে পাই নাই। আমাদের সৌভাগ্য স্বল্প সময়ে যোগ্য নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আমরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এর মূল কাজ সমুদ্র পরিবহন পরিবেশ সম্মত এবং বন্ধুভাবাপন্ন করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ একটি মানবিক দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে সুনীল অর্থনীতিকে যদি এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে সার্থকতা খুঁজে পাবো।

এএএম/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়