ঢাকা     রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

গ্যাসের তীব্র সংকটে নাকাল নগরজীবন

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:৪৮, ৪ জুলাই ২০২৪
গ্যাসের তীব্র সংকটে নাকাল নগরজীবন

ছবি: সংগৃহীত

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন ইসমাইল হোসেন। তিনি যে গাড়িটি চালান, তা গ্যাসচালিত। সাধারণত গ্যাস নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি চেষ্টা করেন সিলিন্ডার পুরোপুরি ভর্তি করে নিতে। এতে নির্বিঘ্নে দুদিন গাড়ি চালানো যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে চরম গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন ইসমাইল হোসেন। গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আবার চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসও পাওয়া যাচ্ছে না।

ইসমাইল হোসেন বলেন, সম্প্রতি গ্যাসের সমস্যা অনেক বেড়েছে। কোনো কোনো পাম্পে তো গ্যাস পাওয়াই যাচ্ছে না। আবার যেগুলোতে পাওয়া যায় সেখানে দীর্ঘ সারি। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর যখন গ্যাস নিতে যাই, তখন দেখি চাপ কম। অর্থাৎ, এক হাজার টাকার গ্যাস চাইলে ৫০০ টাকার পাওয়া যায়। এ গ্যাস দিয়ে সারাদিন গাড়ি চলে না। ফলে আবারও গ্যাস নিতে আসতে হচ্ছে চালকদের। 

সিএনজি গ্যাসের এমন সংকটে ভুক্তভোগী হচ্ছেন ইসমাইল হোসেনের মতো অসংখ্য চালক ও মালিক। দেশের প্রায় ৫০০ রিফুয়েলিং স্টেশনের মধ্যে বেশিরভাগ স্টেশনে গ্যাসই নেই। যেগুলোতে রয়েছে সেগুলোর চাপ খুবই কম। রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোর মধ্যে ডিএল ফিলিং স্টেশন অন্যতম। গত সোমবার স্টেশনটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০টি ব্যক্তিগত গাড়ি গ্যাস নেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ। লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় প্রতিটি গাড়িতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গ্যাস ভরতে বেশি সময় লাগছে। ফলে লাইনের সর্বশেষ গাড়ির চালক জানেন না কখন গ্যাস নিতে পারবেন। 

কথা হয় চালক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন সিরিয়াল আসবে বলতে পারছি না। আবার সিরিয়াল পেলেও দেখা যাবে চাপ কম থাকায় ট্যাংকি ফুল করতে পারব না।

দেশে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে সামিটের টার্মিনাল জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর টার্মিনালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সমপরিমাণ গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন, শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎ ও আবাসিক খাতে।

ইসমাইল হোসেন বলেন, অফিসে প্রায় সময়ই গাড়ির দরকার পড়ে। ধরেন, গ্যাসের জন্য সিরিয়ালের অপেক্ষা করছি, এসময় অফিস থেকে কল আসল। তখন বলতে হয়, গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু অফিস সেটি বুঝতে চায় না, সমস্যায় পড়তে হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত গ্যাস।

তিনি আরও বলেন, আমার গাড়ি সর্বোচ্চ ১৫ লিটার গ্যাস নিতে পারে। কিন্তু সেখানে আমি পাব হয়তো ৫ থেকে ৬ লিটার। এটা সারা দিনের জন্য যথেষ্ট না। ফলে আমাকে আবার গ্যাস নিতে আসতে হতে পারে। অর্থাৎ ওয়ার্কিং টাইমের কয়েক ঘণ্টা অপচয় হচ্ছে গ্যাস নিতে গিয়ে।

উবার চালক আলম গ্যাস ভরার সময়ে অন্তত দুটি ট্রিপ মিস করছেন। তিনি বলেন, সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে যে সময় অপচয় হচ্ছে, সেই সময়ে আমি দু’টি ট্রিপ দিতে পারতাম। কিন্তু সেটি করতে পারছি না। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। 

গ্যাসের এই ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই গাড়িতে তেল ভরছেন, যা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যয়। তবে, উবার চালকদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যয়বহুল বিধায় ট্রিপের ভাড়াও বেড়ে যাচ্ছে। এটি আবার যাত্রীদের ঘাড়ে পড়ছে। ভাড়া নিয়ে উভয়পক্ষকে বচসায় জড়াতে হচ্ছে। একই স্টেশনে অপেক্ষারত উবার চালক সেলিম বলেন, যেখানে গ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৪৩ টাকা, সেখানে তেলের লিটার ১৩১ টাকা। আমাদের খরচ তো বাড়ছেই, তাই ট্রিপের ভাড়াও সেভাবে নিতে হচ্ছে।

ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে গ্যাসের বদলে তেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সিএনজি অটোরিকশার ক্ষেত্রে তা একেবারেই নেই। ফলে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে গ্যাস না নেওয়া পর্যন্ত চাকা ঘুরবে না বাহনটির।

মহাখালীর এবিএন সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে সকাল থেকে সারি সারি সিএনজি অটোরিকশার চালককে গ্যাস নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কথা হয় সিএনজি চালক আমজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সম্প্রতি গ্যাসের সমস্যা অনেক বেড়েছে। কয়েকটি জায়গা ঘুরেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও আবার সিরিয়াল অনেক বেশি। দেখা গেল, গ্যাস নিতে নিতে দুপুর হয়ে যায়। এ সময়ে কয়েকটি ট্রিপ মারতে পারতাম, সব-ই লস।

দেশের স্টেশনগুলোতে এখন চাহিদামাফিক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাম্পমালিকরা লসের মুখে পড়েছেন। সমস্যার সমাধানে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়েছে যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।

এবিএন স্টেশনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণের পাশাপাশি পরিচিত অনেক ক্লায়েন্ট আসছেন। কিন্তু তাদের চাহিদা মতো গ্যাস দিতে পারছি না। চাপ কম থাকলে অনেক সময় পাম্প বন্ধ রাখা লাগে। গত দেড়-দুই মাস ধরে গ্যাসের সমস্যাটা বেড়েছে। এতে করে পাম্পমালিকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

কেন এই অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। যতদিন না এলএনজির পরিমাণ বাড়ানো হবে, ততদিন এর সমাধান হবে না। আমাদের যেখানে গ্যাসের চাপ থাকা লাগে ১০ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে চাপ মাত্র তিন পিএসআই। তাহলে সেল (বিক্রি) করব কীভাবে? কোনো গাড়িই ফুল সিলিন্ডার গ্যাস পায় না। এতে আমাদের বিক্রি কমেছে, গ্রাহকরাও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।

গ্যাস সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর ভূঁইয়া বলেন, দেশের স্টেশনগুলোতে এখন চাহিদামাফিক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাম্পমালিকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঢাকায় চরম আকার ধারণ করেছে গ্যাস সংকট। দিনের বেশিরভাগ সময় চুলায় থাকছে না পাইপলাইনের গ্যাস। রাত ৯টার পর গ্যাস এসে ভোর ৬টায় চলে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে রাতেই রান্না করেন। অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গ্যাস সরবরাহ। সব মিলিয়ে গ্যাস সংকটে নাজেহাল জনজীবন।

সাধারণ গ্রাহকরা বলছেন, লাইনের গ্যাস বেশিরভাগ সময় থাকে না। গ্যাসের চাপও কম। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। উপায়ান্তর না পেয়ে অনেক সময় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে। 

গ্যাস সংকট নিয়ে কথা হলে রামপুরা এলাকার বাসিন্দা জোছনা আকতার নিশি বলেন, ভোর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চুলাই জ্বলে না। রাত জেগে রান্নাও কঠিন হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে রাইস কুকারে খিচুড়ি রান্না করে দিন পার করতে হচ্ছে। হোটেল থেকে ভাত-তরকারি কিনে প্রতিদিন তো চলা সম্ভব হয় না।

একই এলাকার বাসিন্দা খুকি বলেন, দুদিন আগে কোনো ঘোষণা ছাড়াই রামপুরা এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগে গ্যাস বন্ধের আগে জানিয়ে দিতো তিতাস। কিন্তু এখন অনেক এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। 

শনির আখড়ার মেহজাবীন আক্তার বলেন, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ও কদমতলী এলাকায় সকাল ৮টা থেকে গ্যাসের চাপ কমতে থাকে। বিকেল ৫টার পর কিছুটা বাড়লেও তা দিয়ে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। রান্না বসিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। 

কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গ্যাস সংকট তীব্র। বিকল্প হিসেবে অনেকে সিলিন্ডারে ঝুঁকছেন। কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা আঁখি বলেন, গ্যাসের কোনও পরিবর্তন নেই। অনেক দিন ধরে এ এলাকায় গ্যাসের অবস্থা খারাপ। রাত ১২টায় এসে ভোর ৫টায় চলে যায়।

জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দিনে দু’তিন ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, রমনা এলাকার অবস্থাও একই। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, সব এলাকায় সমস্যা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আছে। সাপ্লাই কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রেগাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ এখন কম। আশা করছি, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় এখন একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। সমস্যার সমাধানে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনাল। রেমালের আগে বিদ্যুৎ, সারসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন ৩১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এর মধ্যে ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট আসত গ্যাসক্ষেত্র থেকে। বাকি ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলত এলএনজি টার্মিনাল থেকে। দেশে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে সামিটের টার্মিনাল জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর টার্মিনালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সমপরিমাণ গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনসহ শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎ ও আবাসিক খাতে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গ্যাসের সরবরাহ এখন কম। বিদ্যুৎশিল্পসহ সবখানে গ্যাসের সাপ্লাই (সরবরাহ) স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। সামিটের টার্মিনালটি স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এটি কার্যক্রমে ফিরলে গ্যাসের সংকট কমে আসবে। 

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৬০৬টি অনুমোদিত সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন থাকলেও বর্তমানে ৫২৫টির কার্যক্রম চলমান। এর বিপরীতে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬২টি সিএনজি চালিত যানবাহন আছে। এ ছাড়া, আমদানি করা ট্যাক্সি ক্যাব ও বিআরটিসির সিএনজি চালিত বাসের সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৮৩টি। সিএনজি চালিত অটোরিকশা আছে এক লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। এই বিপুল সংখ্যক যানবাহন জ্বালানির জন্য রিফুয়েলিং স্টেশনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসের এ সংকট যানবাহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফেলেছে বেকায়দায়।

সংকটের সমাধান কবে হবে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গ্যাসের সরবরাহ এখন কম। বিদ্যুৎশিল্পসহ সবখানে গ্যাসের সাপ্লাই (সরবরাহ) স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। সামিটের টার্মিনালটি স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এটি কার্যক্রমে ফিরলে গ্যাসের সংকট কমে আসবে।

চিশতী/ফয়সাল/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়