মাতৃসদনে দুর্নীতি: ৯ চিকিৎসকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
রাজধানীর আজিমপুরে মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় দুর্নীতির পৃথক ৩ মামলায় ৯ চিকিৎসকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। রোববার (৭ জুলাই) দুদকের আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মো. আক্কাস আলী এসব তথ্য জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার গত ৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ৪ জুলাই ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসসামছ জগলুল হোসেন চার্জশিটগুলো দেখেছেন। আগামী ১৯ আগস্ট মামলা ৩টির চার্জশিট আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. কাজী গোলাম আহসান, মাতৃসদনের বিভাগীয় প্রধান (শিশু) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য ডা. মো. আমির হোসাইন, মাতৃসদনের সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. লুৎফুল কবীর খান, মেডিক্যাল অফিসার (শিশু) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আক্তার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সভাপতি ডা. রওশন হোসনে জাহান, পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডা. জেবুন্নেসা হোসেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো.আমীর হোসাইন ও সাবেক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রওশন জাহান, মেসার্স নাফিসা বিজনেস কর্নারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাছির উদ্দিন, মনার্ক এস্টাব্লিসমেন্টের মালিক মো. ফাতে নূর ইসলাম, সাবেক সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও মোছা. রইছা খাতুন।
এদের মধ্যে ডা. ইসরাত জাহান, ডা. লুৎফুল কবীর, ডা. বেগম মাহফুজা, ডা. রওশন হোসনে জাহান, শেখ ইদ্রিস ও রইছা খাতুন তিন মামলারই আসামি। ফাতে নূর ও মিজানুর রহমান দুই মামলার আসামি।
২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা তিনটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক।
বাজারদরের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে ওষুধ, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ও প্যাথলজি সামগ্রী কেনাকাটায় ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাগুলোতে। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।
মামুন/ফয়সাল