ঢাকা     রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২১ ১৪৩১

মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১০টি নতুন বিমান কিনবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩০, ৭ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২৩:০৫, ৭ জুলাই ২০২৪
মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১০টি নতুন বিমান কিনবে সরকার

বাংলাদেশে বিমান বিক্রি নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে এবারই প্রথম কঠিন প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। তবে, বোয়িং নাকি এয়ারবাস কেনা হবে- এর সিদ্ধান্ত হবে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে সাক্ষাৎ শেষে মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই বিমান কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ১০টি বিমান কিনতে চায় সরকার। তবে আপাতত ৪টা কেনা হবে।

ফারুক খান বলেন, আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ, আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন এখনও শেষ হয়নি। মূল্যায়ন শেষ হলে মূল্যায়ন কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনবো।

তিনি বলেন, দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে যেটি আমাদের জন্য ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীতকরণ ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি বলেছি এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং, এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোনও কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও নেই‌। আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোনও কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে প্রভাব পড়েনি। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয় তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়