ঢাকা     রোববার   ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ১৭ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘ছিনতাই হয়েছে’, মাঠে থাকার প্রত্যয় মুক্তিযোদ্ধাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ১৮ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২০:৪৫, ১৮ জুলাই ২০২৪
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘ছিনতাই হয়েছে’, মাঠে থাকার প্রত্যয় মুক্তিযোদ্ধাদের

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছিনতাই করে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস এবং ভাঙচুর চালাচ্ছে মন্তব্য করে মাঠে থাকার প্রত্যয় জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেন, তাদের টার্গেট সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায় তারা। মুক্তিযোদ্ধারা কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কাছে মাথা নত করতে পারে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা, নৈরাজ্য, হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বক্তরা এ কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা-শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। কিন্তু রাতের অন্ধকারে বিএনপি-জামায়াত আর ছাত্রদল-শিবির মিলে যে তাণ্ডব শুরু করলো, সেদিন থেকে সাধারণ ছাত্রদের হাতে আর আন্দোলন থাকেনি। সে আন্দোলন ছিনতাই হয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে গেছে। এ জন্য গত তিনদিন তারা সংঘাত নৈরাজ্য করছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে কোটা আন্দোলনের নামে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, অরাজকতা চালাচ্ছে বিএনপি জামায়াত।

মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেন, আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা ঢুকে গেছে। ভাঙচুর-অগ্নিসন্ত্রাস করছে। এই দায় কি শিক্ষার্থীরা নেবে? কারা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে? জীবন দিয়ে হলেও একাত্তরের এই প্রেতাত্মাদের প্রতিহত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা আপোষ করতে জানে না। একাত্তরের মতো প্রয়োজনে আবারও পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, সদিচ্ছাকে দুর্বলতা মনে করে তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা কঠোর কর্মসূচি দেবে। ২৩ জুলাই থেকে সারাদেশে তিনটি কর্মসূচি পালন করা হবে। আমেরিকার ষড়যন্ত্রে সুকৌশলে লাশ ফেলা হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এখন কোটা আন্দোলনে অর্থায়ন করা হচ্ছে। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে তারা (ছাত্ররা) হতাশ হবেন না। যারা বিশৃঙ্খলা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের হীন তৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেয়ার পর সম্প্রতি সেই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। সরকার কিন্তু সেটা মেনে নেয়নি। এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। পুর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় ছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ  আন্দোলনে পুলিশ বা সরকার কোনো বাধা দেয়নি। কিন্তু আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অপবিত্র করেছে।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।

 

পারভেজ/আসাদ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়