‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়নের সড়কে নিয়ে যাব’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে সড়ক, উন্নয়নের যে অভিযাত্রা, সেই জায়গায় আবার নিয়ে যাব। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ধরনের নৈরাজ্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা, সামনের পথ দেখানোর শক্তি। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়েই এই বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করব। এই যাত্রায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীতে সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে ঘাট ও নৌকর্মীদের মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ৫০০ ঘাট ও নৌকর্মীর মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে আমাদের এই অগ্রসরমান বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে যখন আমার খ্যাতি অর্জন করেছি, সেই দেশের উন্নয়নকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলো, ধ্বংসপ্রাপ্ত করা হলো। আমাদের স্বপ্নের যে মেট্রোরেল সেখানে কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যে টোলপ্লাজা ছিল, সেই টোলপ্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেতু ভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন অনেক বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়া রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে আমরা অনেক কিছুতে সুবিধা পাচ্ছি। তবে একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশনই ছিল একমাত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। সেই বাংলাদেশ টেলিভিশন ধীরে ধীরে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। এই বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এত বড় পরিধি তৈরি হয়েছে। যেখানে দেশের মানুষের কথা, দেশের কথা বলা হয়। সেই বাংলাদেশ টেলিভিশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার যে আর্কাইভ দেশের ৫০ বছর, ৫৪ বছরে বাংলাদেশ কীভাবে ধীরে ধীরে আজকের এ পর্যায়ে পদার্পণ করেছে, তা সংরক্ষণ করা ছিল। সেই সংরক্ষিত ডকুমেন্টসগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি যদি জানতে চান আজ থেকে ১৫, ২০, ৩০, ৪০, ৫০ বছর আগে বিটিভি কী ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছে, কী ধরনের অনুষ্ঠান করেছে, আমরা কোথায় ছিলাম, সেগুলো এখন দেখতে পারব না। কারণ সেই আর্কাইভ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ডেটা সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়া হলো। এখন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি ইন্টারনেট পাইনি, কানেকশন বঞ্চিত। এরকম একটি ভয়াবহ অবস্থা। তার থেকেও বড় কথা মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। যাত্রাবাড়ীতে একজন নারী পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। তাকে পিটিয়ে হত্যা করে শান্ত হয়নি, হত্যার পর তার মুখ থেতলে দিয়ে হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের ইকোনমি ভারতের ইকোনমির সঙ্গে তুলনা করা হয়। অথচ একসময় বাংলাদেশকে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ বলা হতো। সেই দরিদ্র দেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে গেছেন। এটা কি তাদের কষ্ট? দেশকে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা। দেশের মানুষের সাহস মনোবলের ওপর যে আঘাত সেই আঘাতটা আমরা কতটুকু সামলে এগিয়ে নিতে পারব জানি না।’
আসাদ/এনএইচ