ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩২

ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা স্তম্ভিত, বললেন সঙ্গে আছি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ০৮:৫৬, ২৫ জুলাই ২০২৪
ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা স্তম্ভিত, বললেন সঙ্গে আছি

কোটা সংস্থার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার কিছু স্থাপনায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার মধ্যে থেকে মেট্রোরেলসহ কয়েকটি স্থাপনা বিদেশি কূটনীতিকদের সরেজমিনে দেখিয়েছে সরকার। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে কূটনীতিকরা বলেছেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিদেশি কূটনীতিকদের কিছু স্থাপনা দেখানোর পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিদেশি কূটনীতিকদের অনেকে বলেছেন, দিস ইজ শেইম। অনেকেই আমার কাছে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, তবে এটা তোমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা স্বচক্ষে দেখার পর স্তম্ভিত  হয়ে গেছেন, আমি নিজেও স্তম্ভিত হয়ে গেছি। প্রতিটি জায়গায় এরকম ধ্বংসযজ্ঞ, এটা কল্পনার বাহিরে ছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মোট ৪৯টি মিশনের প্রতিনিধি ছিলেন। ২৩ জন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আজকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কূটনীতিকদের মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ, সড়ক ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিভি দেখিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরও কিছু দেখানোর। তাদের আমরা সব জায়গায় নিতে পারিনি। অর্ধদিনের নোটিশে এই কঠিন সময়ে এত রাষ্ট্রদূত যাওয়া সহজ কাজ ছিল না।

গত ১৮ জুলাই ঢাকার কূটনৈতিক মিশন থেকে পাঠানো ব্রিফ নোটের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সবার কাছে নোট পাঠিয়েছি। কোনো বিদেশি দূতাবাস বা কূটনীতিকরা যেন গণমাধ্যমে কোনো বিবৃতি না পাঠান। তারা সেটি মেনেছেন। অতীতে এ ধরনের কিছু ঘটলে কূটনীতিকদের প্রভোক করা হতো। এবার গণমাধ্যম করেনি। হয়তো কিছু দেশ তাদের মতো বিবৃতি দিয়েছে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে কত লোক মারা গেছে, তার তথ্য কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, সেটি সবাই জানতে চায়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে জাতিসংঘের ভেইকল ব্যবহার নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের কোনো ভেইকল ব্যবহার করা হচ্ছে না। ওটা জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি। এখন লোগোটা মুছে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে ল অ্যান্ড ফোর্সমেন্ট ও ইনটেলিজেন্সির কোনো ব্যর্থতা ছিল কি না এবং সরকারের সেটি তদন্ত করার প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, এখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের ল অ্যান্ড এনফোর্সেমেন্ট এজেন্সিগুলো কাজ করছে। কাজ করে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের ল অ্যান্ড এনফোর্সেমেন্ট যথেষ্ট চেষ্টা করছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়