কারফিউ শিথিল হলেও চালু হচ্ছে না মৈত্রী এক্সপ্রেস
ফাইল ফটো
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কারফিউ শিথিল হলেও নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে ভারতের পক্ষ থেকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালুর সময়।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এরইমধ্যে চালু করা হয়েছে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর। বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। কিন্তু, দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হচ্ছে না এখনই।
ভারতীয় রেল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার (২৭ জুলাই) কলকাতা থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কলকাতাগামী যে রেল পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল, তা এখনই চালু হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে ছাড়ার কথা ছিল এবং ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৭ জুলাই কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল, সেটি বাতিল থাকবে। যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তাদের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে। কেউ টিকিট হারিয়ে ফেললে, তারা অর্থ ফেরত পাবেন না।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয় গোটা বাংলাদেশ। এর জেরে গত শনিবার (২০ জুলাই) পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। দেশটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সে কারণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি। রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেট্রাপোলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পণ্যবাহী ট্রাক ও গাড়ি। দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ব্যবসায়ী ও পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরা।
অপরদিকে, গত ১৯ জুলাই মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাতায়াতকারী বন্ধন এক্সপ্রেসের চলাচল বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। সে সিদ্ধান্তই বহাল থাকল বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল বিভাগ। তাদের অভিমত, এ মুহূর্তে রেল চলাচলের বিষয়টি সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশ সরকারের ওপর। তারা সবুজ সংকেত দিলেই আগামী দিনে রেল পরিষেবা চালু হবে দুই দেশের মধ্যে।
হাসান/রফিক