ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩২

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আজও রাজধানীর রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ৯ আগস্ট ২০২৪  
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আজও রাজধানীর রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর রাস্তায় নেই ট্রাফিক পুলিশ। ৬ আগস্ট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। আজ শুক্রবারও (৯ আগস্ট) রাজধানীর রায়েরবাগ, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাস্তায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা রয়েছেন। তারা রাস্তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফুটপাতে হাঁটা ও নির্দিষ্ট স্থানে গাড়িতে ওঠানামার বিষয়ে গণপরিবহনগুলো নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও গাড়িচালকদের বাধ্য করছেন। 

সকালে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন দারুননাজাত মাদরাসা ও দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থীসহ ১২ জন। সেখানকার সমন্বয়ক রায়হান হাসান আবির বলেন, আমি এর আগেও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। প্রচণ্ড গরমে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে, দেশের জন্য কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। দেশের অনেক মানুষ আইন মানতে চান না। ট্রাফিক আইনের কথা বললে তারা রাগ করেন। কিন্তু, আমরা চাই, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।  

ধোলাইপাড় মোড়ে কথা হয় ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবী আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দেশের ক্রান্তিকালে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণকর কাজে অংশ নিই। দেশের বর্তমান অবস্থায় সড়কে পুলিশ নেই। তাদের অনুপস্থিতিতে নগরীতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। সে কারণেই  শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছি।

পল্টনে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া ছোঁয়া বলেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না আসা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করব। বাস-সিএনজি অটোরিকশাগুলো যেন লাইন ধরে চলে, আমরা সে নির্দেশনা দিচ্ছি। গরমে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবু ভালো লাগছে যে, মানুষকে সচেতন করার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি।  

গুলিস্তান-চিটাগাং রোডে চলাচলকারী সময় পরিবহনের চালক মুরাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা নিয়ম করেই সিগন্যাল দিচ্ছেন। কোনো ভোগান্তি নেই। সড়কে আগে চাঁদা দিতে হতো, এখন হয় না। পুলিশের হয়রানি নাই। শিক্ষার্থীরা আমাদের অনেক কিছু শিখাচ্ছেন। 

শিক্ষার্থীদের কাজে খুশি নগরবাসী। রায়েরবাগের বাসিন্দা হাজী আম্বর আলী বলেন, রাস্তায় পুলিশ নেই, তবে বিশৃঙ্খলাও নেই। সড়কে শিক্ষার্থীরা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। এখন আর সড়কে বেশি যানজট তৈরি হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিফট করে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। মোড়ে রিকশা বা স্কুটারের জটলা হতে দিচ্ছেন না। মোড় থেকে অনেকটা দূর পর্যন্ত প্রতিটি যানবাহনকে লেন মেনে চলতে বলছেন। যানবাহনের চালকরা নির্দ্বিধায় তা মানছেন। ফলে, এখন রাজপথে যানবাহনের বেশ স্বচ্ছন্দ গতি। হেলমেট পরে বাইক চালানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।

এএএম/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়