দেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত ফ্রান্স

পুনর্গঠনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই। বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এ সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত গণবিপ্লব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পুনর্গঠনের নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পুনর্গঠনের সুযোগ দিয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। এটি একটি বড় কাজ। তবে আমরা এটিকে একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছি। আমরা যদি সুযোগটি কাজে না লাগাই, তাহলে এটি একটি বড় ব্যর্থতা হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন থাকবে।

দেশে জনগণকে ‘বড় পরিবারের’ অংশ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কখনও কখনও আমরা খুব জোরালোভাবে দ্বিমত পোষণ করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা শত্রু। সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আসুন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের কাজ হলো সংবিধানকে কার্যকর করা।

এ সময় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাকে (ড. ইউনূস) সুবিধাজনক সময়ে ফ্রান্স সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত ছাত্র ও জনতার মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেন, ফ্রান্স ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে এবং দুর্নীতি, মানবপাচার, ফরেনসিক সাইবার অপরাধ, বন্দর ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষতা বাড়াতে আগ্রহী।

ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ঢাকা আগামী অক্টোবরে ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবে এবং তিনি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, ফ্রান্সও ২০২৫ সালের এপ্রিলে প্যারিসে দুই সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৌসুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। 

ফরাসি রাষ্ট্রদূত জানান, ফ্রান্সের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তিনটি সৌর পার্ক স্থাপন এবং দেশে ১৫টি বজ্রপাতপ্রবণ জেলায় ‘বজ্রপাত নিরোধক’ স্থাপনে আগ্রহী।