ঢাকা     সোমবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

দূতাবাসে দুদকের চিঠি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২০:৩১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দূতাবাসে দুদকের চিঠি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন (ফাইল ফটো)

১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঠানো চিঠি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গত ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা–কর্মচারীর তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা আজ পত্রিকায় আমি প্রথম দেখলাম। এখানে কিছু কনফিউশন থাকতে পারে, সেগুলো আমরা দূর করব। অডিট অবজেকশন এবং দুর্নীতি এক জিনিস না। একটি ছোট উদাহরণ দিই—আমি দায়িত্বে থাকাকালীন কলকাতা মিশনের একটি গাড়ি কেনা হয়। এর চেয়ে অনেক ছোট গাড়ি দিল্লিতে কম দামে কেনা গেছে। অ্যাডভান্স দেওয়া হয়েছে এজেন্টকে, এজেন্ট মানে দালাল। কিন্তু, আসলে গাড়ির কোম্পানির এজেন্ট ওরা। অভিযোগ এসেছে যে, দালালকে দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ টাকা, সেটা আদায়যোগ্য। অবজেকশনটা আমার বিরুদ্ধে। এটা আমি কেন দিলাম, আমার কাছ থেকে নাকি এ টাকা আদায়যোগ্য হবে। মিশন অডিটের ডিজিকে বললাম, গাড়ি কিনতে হলে বুকিং দিতে হয়, সেজন্য আগাম কিছু টাকা দিতে হয়। অডিট অবজেকশন অনেক সময় এরকম হয়। সেগুলোকে দুর্নীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। কারণ, অভিযোগের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, এগুলো অনেক অডিট অবজেকশনের ফলাফল। অডিট অবজেকশন আর দুর্নীতি এক জিনিস না। আমরা দেখব।

দুদককে সহযোগিতা করার বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সহযোগিতা তো অবশ্যই করব। আমরা তো চাই না, কোনো দুর্নীতি হোক। কাজেই যেটুকু সহযোগিতা চাইবে, আমরা করব। দেখতে হবে, দুর্নীতি হয়েছে কি না? সেটা দেখে, সেভাবে সহযোগিতা করব।

তার মানে কি দুদকের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকতে পারে, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয়। তবে, আমি নিশ্চিত করে কিছু বলব না, যতক্ষণ না প্রতিটা কেস আমি ডিটেইলস দেখব।

বিভিন্ন মিশন থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরত আসতে বলা হয়েছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুক্তিতে যারা ছিলেন তাদের সবাইকেই রিকল করা হয়েছে। তার মধ্যে তিনজন ছিলেন অ্যাডমিন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা, তাদের ইতোমধ্যে গতকাল চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আমরা চার সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। তারা সবাই চলে আসবে। তবে, রিপ্লেসমেন্টে কিছুটা সময় লাগবে। হুট করে তো হবে না। এটা ভেবে-চিন্তে দিতে হবে, অভিজ্ঞ যারা আছেন।  

অনেকে অতিউৎসাহী হয়ে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছেন, এটি তেমন কি না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টা বলেন, এটা হতেই পারে, সব সময়ই হয়। এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

হাসান/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়