ঢাকা     সোমবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

গণভবনকে জাদুঘর বানিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২২:১৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গণভবনকে জাদুঘর বানিয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

গত ৫ আগস্ট গণভবন দখল করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তর করে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমাদের যে গণভবন, এটি আসলে কখনো এর যে নাম, গণভবন হয়ে উঠতে পারেনি। এই গণভবনকে যেহেতু ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জয় করেছে, এটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি, শহিদদের স্মৃতি, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়-অবিচার হয়েছে, সবকিছুর স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, খুব দ্রুতই এটা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। জনগণ যেভাবে বিজয় করেছে, এটিকে সে অবস্থাতেই রাখা হবে। এর ভেতরে আমরা একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করব, যাতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, এই আন্দোলন দমনে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার বাড়াবাড়ি রকমের বল প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। জুলাইয়ের মাঝমাঝিতে কয়েক শত মানুষের প্রাণ যায়। পরে সেই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার আরও কঠোর হয়। নির্বিচারে হত্যা করে ছাত্র-জনতাকে। কিন্তু, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ওই সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যান।

হাসান/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়