ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

দখলদারের হাত থেকে বাঁচতে চান নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের মালিক

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
দখলদারের হাত থেকে বাঁচতে চান নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের মালিক

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিকুঞ্জ কনভেনশন হল দখলের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিকুঞ্জ কনভেনশন হলে মালিক, শ্রমিক ও খিলক্ষেত ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের মালিক হারিজ মাহমুদ বলেন, আমি নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের মালিক, আমার পার্টনার মনির হোসেন। আমরা সিটি ডেন্টাল কলেজের মালিক ডা. এ এস এম বদরুদ্দোজার কাছ থেকে ২০২১ সালের ২৭ জুন কনভেনশন হল করার জন্য বিল্ডিংয়ের ওপর দিক থেকে সাড়ে তিনটি ফ্লোর ক্রয় করার শর্তে রেজিস্ট্রি বায়না করি। বায়নায় উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক কনভেনশন হলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রির সময় হলে ডা. বদরুদ্দোজা আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে আমাদের চলমান ব্যবসা (নিকুঞ্জ কনভেনশন হল) বন্ধ করে দিয়ে অন্যায়ভাবে বের করে দিতে চান। উপায় না দেখে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই এবং উচ্চ আদালত দীর্ঘ শুনানির পর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের পক্ষে রায় দেন এবং ইংজাংশন জারি করেন এই মর্মে যে, নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের চলমান ব্যবসায় কোনো রকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, গত ৩১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডা. বদরোদ্দোজা তার অফিস স্টাফসহ ২০-২৫ জন লোক নিয়ে নিকুঞ্জ কনভেনশন হলে ঢুকে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর চালান। সঙ্গে সঙ্গে আমি খিলক্ষেত থানা, র‍্যাব ও আর্মি ক্যাম্পকে জানাই। ২৫-৩০ মিনিট পর খিলক্ষেত থানার ওসি তার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তিনি আমাকে ও ডা. বদরোদ্দোজাকে বলেন নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার জন্য। কিন্তু, এর পরদিনই ডা. বদরোদ্দোজার লোকজন এসে আমাকে সাত দিনের মধ্যে কনভেনশন হল বন্ধ করে চলে যেতে বলেন, অন্যথায় তারা নিকুঞ্জ কনভেনশন হল উচ্ছেদ করবেন। অথচ, কলেজের মালিক নিজেই আমাদের ডেকে এনে সাড়ে তিনটা ফ্লোর আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন আর এখন অন্যায়ভাবে আমাদের উচ্ছেদ করতে চাচ্ছেন। এই অবৈধ উচ্ছেদ ও জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা সপ্তাহব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।

হারিজ মাহমুদ আরও বলেন, নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের সঙ্গে আমার ও স্টাফসহ শতাধিক পরিবারের রুটি-রুজি জড়িত। আমরা নিয়মিত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিচ্ছি। বর্তমান সরকারের প্রধান এজেন্ডাই হচ্ছে সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যার জন্য সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি, সরকার আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।

রাহাত/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়