ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

বিভিন্নখাতে সংস্কার ও বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
বিভিন্নখাতে সংস্কার ও বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

বাংলাদেশের বিভিন্নখাতে সংস্কার এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করবে জাতিসংঘ। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার এবং ইলেকশন কমিশন ঢেলে সাজাতেও সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সম্বয়কারী।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে ডক্টর ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জিওন লুইস। এ সময় তারা দেশ পুনর্গঠন, দুর্নীতি দমন, বন্যা পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকট ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে কথা বলেন।

জিওন লুইস বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার তদন্তেও বাংলাদেশকে সাহায্য করবে জাতিসংঘ।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ সবসময় ডক্টর ইউনূসের সরকারকে সমর্থন দেবে। এক অভূতপূর্ব বিপ্লবের পরে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন, এজন্য তিনি ডক্টর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব ও পরবর্তী সময়টি গোটা জাতির জন্য সবচেয়ে বেশি ঐক্যের মুহূর্ত। তার সরকারের প্রধান কাজ ছিল প্রত্যেকের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করা। এটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ঠিক করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার একটি সমন্বিত জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের মানুষের সমস্যা কমিয়ে দেবে এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হবে।
 
তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করতে একটি কমিশন গঠন করেছে, যাতে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।

গোয়েন লুইস পুলিশ প্রশাসনসহ নিরাপত্তা বাহিনীতে সংস্কারের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার পুলিশি সংস্কারকে অগ্রাধিকারের শীর্ষে রেখেছে।

লুইস বলেন, জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দল ইতোমধ্যে জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মারধরের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। ডব্লিউএইচও এবং আইএলওর মতো জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো আহতদের সাহায্য করার উপায় খুঁজছে।

তিনি বলেন, বর্ষার শুরু থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। জাতিসংঘ বন্যা দুর্গতদের জন্য বিভিন্ন সংস্থা ও দাতব্য সংস্থার সহায়তা সমন্বয় করছে। জাতিসংঘ দেশের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য ৪ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যার জন্য একটি আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করতে জাতিসংঘের সাহায্য চান। তারা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন। লুইস তিন পার্বত্য জেলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো যেসব কাজ করছে তার রূপরেখা দেন।

প্রফেসর ইউনূস কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতা চান।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়