ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইউনূস-ব্লিঙ্কেন বৈঠক

বাংলাদেশে সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
বাংলাদেশে সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে

ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থন থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জানা গেছে, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভাস্থলে গতকাল স্থানীয় সময় সকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠকে কোন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, সেই পরিস্থিতির আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কারপ্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকট, পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ড. ইউনূস ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

ড. ইউনূস ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে জানান, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন ড. ইউনূস ও ব্লিঙ্কেন। সেখানে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকা নিশ্চিত করতে সংস্কারের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, যেখানে অংশগ্রহণমূলক, গণতান্ত্রিক এবং বাংলাদেশির ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। ড. ইউনূস ও ব্লিঙ্কেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম অধিকারের প্রতি সম্মান, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার রক্ষা এবং রোহিঙ্গা ও সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ার গুরুত্বের বিষয়টি আলোচনা করেন।

/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়