ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত: কৃষি উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ০৮:৪৯, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত: কৃষি উপদেষ্টা

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন রাখতে সরকার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সবার জন্য খাদ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না।

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা লাভের সময় প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমাণ কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশ এখন দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, দেশে সবার জন্য খাদ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। তবে, আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে, যদি আমরা খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি।

তিনি বলেন, আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষ করে শাক-সবজি এবং ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ।

তিনি বলেন, উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয়। খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকার পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশীদ।

/এএএম/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়