ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

১০ বছর পর পিপিপি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ৩২০ কোটি টাকার প্রকল্প

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫০, ১৮ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১২:৫০, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
১০ বছর পর পিপিপি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ৩২০ কোটি টাকার প্রকল্প

খুলনায় রেলওয়ের জমিতে হোটেল-কাম-গেষ্ট হাউস ও শপিং মল নির্মাণ প্রকল্প ‘পিপিপি’ (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) তালিকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। আগামী রোববার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, তিন কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য হাতে নেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। সে বছরই ২৭ আগষ্ট অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রকল্পটি পিপিপির তালিকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব আগামী রোববার অনুষ্ঠিতব্য অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পরবর্তীতে  ভারতীয় একটি টিম জায়গা পরিদর্শন এবং প্রকল্প নিয়ে একটি বৈঠকও করেছে খুলনায়। কিন্তু তারপর এ বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর প্রকল্পটিকে পিপিপির তালিকায় নিয়ে আসা হয়। সে সময় বলা হয়েছে, রেলওয়ের ১ দশমিক ৭৫ একর জমিতে এই জমিতে নির্মাণ করা হবে কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেট, কমার্শিয়াল স্পেস, রেলের কোয়ার্টার।  ‘ডেভেলপমেন্ট অব শপিং কমপ্লেক্স কাম গেস্ট হাউজ অন পিপিপি বেসিস অব বাংলাদেশ রেলওয়ে’ নামক প্রকল্পের আওতায় রেলের নিজস্ব জমিতেই আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। রেলের টিটি কলোনি, নিউ কলোনি এলাকাজুড়েই হবে এই প্রকল্প। রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশের পাওয়ার হাউজ মোড় এলাকা থেকে হাসপাতাল রোড হয়ে নিক্সন মার্কেটের মসজিদ পর্যন্ত রেলওয়ের নিজস্ব জমি আওতাভুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের প্রারম্ভে বলা হয়েছে, এটি বাস্তবায়িত হলে খুলনা সিটিতে কমার্শিয়াল ইমপোর্টার বাড়বে, কমার্শিয়াল বিল্ডিং হওয়ার পর খুলনাবাসীর জীবন মানের আরও উন্নয়ন  হবে, পার্কিং ফ্যাসিটিলি এবং টয়লেট ফ্যাসিলিটি ভালো করার মাধ্যমে শপিং কমপ্লেক্স হলে বেচাকেনা বাড়বে। যেহেতু কমার্শিয়াল এবং শপিং স্পেস পাশাপাশি হবে তাই এটা অবশ্যই খুলনার মানুষের জন্য বাড়তি কিছু দিতে পারবে। প্রকল্পটি  বাস্তবায়িত হলে  রেলওয়ের আয়ও বাড়বে। যারা ব্যবসা করছেন তাদেরও উন্নতমানের শপিং কমপ্লেক্সে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই বাস্তবতায় ২০১৬ সালে শপিং কমপ্লেক্সের নকশাসহ বিভিন্ন নকশা তৈরি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এটি নিয়ে তেমন কোনো অগ্রসর হওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হলেও গত ১০ বছরে এটি কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। বেসরকারি খাত থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে তেমন কোনো সাড়াও পাওয়া যায়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয়তা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বাস্তবতায় পিপিপি তালিকা থেকে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।

/হাসনাত/সাইফ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়