ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাবেক মন্ত্রী ইমরান তিন দিনের রিমান্ডে 

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২১ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৮:৪৩, ২১ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক মন্ত্রী ইমরান তিন দিনের রিমান্ডে 

সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানবপাচারের মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের তিন   দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব।

এদিন ইমরান আহমদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাচান। ইমরান আহমদের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।

গতকাল রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের মালিক আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী আলতাব খান অভিযোগ করেন, জনশক্তি রপ্তানিতে ২ হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র গড়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থী জঘন্য অপরাধ করেছেন। আসামি ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ‘প্রবাসী’ অ্যাপস চালু করার অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছেন।

বাদী আরও উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে তার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের জন্য দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ ১ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এছাড়া, তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন।

মামুন/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়