জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে ১৫ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউএসএআইডি
বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা (ইউএসএআইডি)।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএসএআইডি’র পরিচালক জোসেফ লেসার্ডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে ক্লিমঅ্যাক্ট প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব বৃদ্ধির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
এই অনুদান ইউএসএআইডি’র ক্লিমঅ্যাক্ট প্রকল্পের আওতায় ব্যবহৃত হবে, যা বাংলাদেশে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল পথ অনুসরণে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি মূলত তিনটি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেবে: নীতি ও পরিকল্পনা, অর্থায়ন প্রাপ্তি এবং জলবায়ু কার্যক্রমের শাসন ব্যবস্থা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, ক্লিমঅ্যাক্ট প্রকল্প আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইউএসএআইডি‘র এই সহযোগিতা আমাদের দুর্বল জনগোষ্ঠী ও পরিবেশ সুরক্ষার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।
তিনি আরও বলেন, ইউএসএআইডি’র মতো বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াবে, বিশেষ করে বন্যাপ্রবণ, নদীভাঙন ও উপকূলীয় অঞ্চলে।
জোসেফ লেসার্ড বাংলাদেশে পরিবেশগত উদ্যোগে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইউএসএআইডি’র প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জলবায়ুবিষয়ক কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু সহনশীলতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ইউএসএআইডি’র টিম লিডার ব্রনউইন লুয়েলিন, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ’র ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের পরিচালক রবার্ট কেনি, পরিবেশ ও শক্তি বিভাগের সহযোগী পরিচালক ফিরাস ট্রাইশ এবং কেটি লাজার উপস্থিত ছিলেন।
নঈমুদ্দীন/রফিক
