ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

আদানির বকেয়া ১৭ কোটি ডলার এ মাসেই পরিশোধ করবে সরকার

রাইজিংবিডি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩০, ৫ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১২:৩৭, ৫ নভেম্বর ২০২৪
আদানির বকেয়া ১৭ কোটি ডলার এ মাসেই পরিশোধ করবে সরকার

ছবি: বিবিসি

আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধে ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। এরপরই বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বকেয়া পরিশোধের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।

ভারতীয় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কোম্পানি আদানি পাওয়ার পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণই করা হয়েছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য। কয়লা আমদানি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকার অজুহাতে কোম্পানিটি বকেয়া পাওয়ার জন্য ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, যেখানে এরই মধ্যে তারা বিদ্যুৎ রপ্তানি ৫০ শতাংশের বেশি কমিয়ে দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির মালিকানাধীন এই কোম্পানি চলতি মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট থেকে ৭০০–৮০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশে রাজি হননি। অন্যদিকে এ বিষয়ে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা রয়টার্সের প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি।

নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে প্রায় শুরু থেকেই বাংলাদেশ বিল পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। চলতি বছর আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিবিসি ও রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গত মাসে আমরা ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছি। এ মাসে আরও ১৭ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য একটি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে।’

গত মাসে বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি আবার খতিয়ে দেখছে। কারণ এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি উৎপাদকদের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি চার্জ করছে।

আদানি পাওয়ারের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা দিলীপ কুমার ঝা গত সপ্তাহে এক ত্রৈমাসিক রাজস্ব সম্মেলনে বলেছিলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বকেয়া বিষয়ে আর অবস্থার কোনো অবনতি হবে না।’

সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স

/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়