ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা: জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলর ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ১৪ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:৪৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা: জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলর ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’

জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সুইজারল্যান্ডে হেনস্তার অভিযোগে জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। এছাড়া একজন লোকাল স্টাফের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাকে হেনস্তার ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টার সঙ্গে প্রটোকল থাকার পরও কেন এমন ঘটনা ঘটল এবং এর সঙ্গে কাদের যোগসাজশ রয়েছে তা জানতে চেয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিকপত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। এছাড়া একজন লোকাল স্টাফের (আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া লোকাল স্টাফ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজান) চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফেরার জন্য জেনেভা বিমানবন্দরে যান আসিফ নজরুল। সেসময় দূতাবাসের প্রোটোকলে ছিলেন তিনি। গাড়ি থেকে নামার পর হঠাৎ একদল লোক এসে তাকে ঘিরে ধরে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, আসিফ নজরুল একাই তাদের শান্ত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং মিশনের স্থানীয় কর্মী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত মিজান ছিলেন। তবে দুজনই সেসময় নীরব ভূমিকা পালন করেন। তাদের এমন নির্লিপ্ত ভূমিকার কারণে মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। পাশাপাশি মিজানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জরুরি একটি পরিপত্র পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে মিশনগুলোকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সরকারি সফরের সময় দুটি বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিদেশ সফরে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যথাযথ প্রটোকল দেওয়া এবং সফরের সময় যে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে আরও সচেষ্ট থাকার কথা জানানো হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়