শিরীন শারমিন ও তার স্বামীর পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত করেছে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। হত্যা মামলার পর আত্মগোপনে থেকে আবেদন করায় তা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিরীন শারমিনের স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনের পাসপোর্ট আবেদনটিও স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে আত্মগোপনে থেকে ‘বিশেষ সুবিধায়’ শিরীন শারমিনের পাসপোর্ট আবেদন করার খবর গণমাধ্যমে উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যা মামলার আসামি হলেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শিরীন শারমিনের ফিঙ্গার প্রিন্ট, ছবি ও চোখের আইরিশ নেওয়া হয়। এর সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে না পারলেও বেশ কিছু মামলার আসামি এমন অনেক নেতাকে অনৈতিক সুবিধায় পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়া হলেও স্পিকারের পদ তাৎক্ষণিভাবে শূন্য হয় না। পরবর্তী স্পিকারের শপথ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থেকে যান। তবে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সরকার পতনের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে চলে যান। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হন। তবে শিরীন শারমিন চৌধুরী আর প্রকাশ্যে আসেননি। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানেও যাননি।
গত ২২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য বরাদ্দকৃত সব কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ