ঢাকায় আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি
চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তারের পর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র সচিবকে ঢাকায় পাঠাতে পারে ভারত।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি সম্ভবত আগামী ১০ ডিসেম্বর দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের জন্য বাংলাদেশে যাবেন। বিক্রমের সফরের প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা জানিয়েছেন। তবে, দুই দেশের কেউই এখনো এ সফরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক চলাকালীন গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আলোচনায় বিক্রম মিসরির ঢাকা সফর চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
সফরের মূল উদ্দেশ্য—দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা এবং দ্বন্দ্ব নিরসন। আলোচনায় ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা, ভারত অর্থায়িত উন্নয়ন প্রকল্প পুনরায় চালু করা, বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং আরও সরাসরি ফ্লাইট চালু করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে অংশ নিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় আসার কথা।
তবে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন বাড়ছে। এ অবস্থায় ঢাকা-দিল্লি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশের ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/হাসান/রফিক