ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩১

অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বানে দেশে গিভিং টুইসডে উদযাপন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২৩:৫৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বানে দেশে গিভিং টুইসডে উদযাপন

একজন মানুষের উদারতা চারপাশের মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। উদারতা প্রকাশ করতে অর্থ লাগে না। জ্ঞান দিয়েও অপরকে সাহায্য করা যায়, উদারতা প্রকাশ করা যায়— এমন আহ্বানে দেশজুড়ে উদযাপন করা হয়েছে 'গিভিং টুইসডে'।

প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বর বা মঙ্গলবার গিভিং টুইসডে নামে দিবসটি উদযাপন করা হয়। একে উদারতা দিবসও বলা হয়। বিশ্বের ১০৬টি দেশে এবার দিবসটি উদযাপন হয়েছে। এবার বাংলাদেশে গিভিং টুইসডে এবং বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস একসঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশেও বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে দিবস দুটি উদযাপন করা হয়েছে।

এবার রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে দিবস দুটি উদযাপনের কর্মসূচি পালন করে অর্গানাইজেশন ফর ডিসএবলড ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড রাইটস (অদির বাংলাদেশ) নামের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি গত বছরের মতো এবারও ২২টি বেসরকারি সংস্থা এবং ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গিভিং টুইসডে দিবস উদযাপন করে।

অদির বাংলাদেশ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢামেকের পেডিয়াট্রিক বহির্বিভাগে গিভিং টুইসডে দিবসের কর্মসচির সূচনা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‌্যালি এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এরপর দুপুরে ধানমন্ডি মাঠে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমধর্মী হুইল চেয়ার ক্রিকেট খেলার। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয় হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল।

বিকেলে মগবাজারের জাহাবক্স লেনে অবস্থিত অদির বাংলাদেশ-এর কার্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। এসময় অদির প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে আয়োজক সংস্থা অদির বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শাকিল আজাদ মনন বলেন, “বিভিন্ন দেশের সাথে সঙ্গতি রেখে মানুষকে উদার হওয়ার আহ্বাণ জানিয়ে প্রতিবছর আমরা দিবস দুটি উদযাপন করি। এবারো আমরা অনেক সাড়া পেয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যতেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এতে সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।”

প্রসঙ্গত, একজন মানুষকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য থেকে চালু হয় ‘গিভিং টুইসডে' কনেসপ্ট। খুব স্বল্প সময়ে কনেসপ্টটি গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে পরিণত হয়। বিশ্বের কোটি মানুষকে উদার হতে এবং অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এখন ১০৬টির বেশি দেশে প্রতি বছর দিবসটিই উদযাপন করা হয়। আর, প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা।

ঢাকা/হাসান


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়