‘যুক্তরাজ্যের সমাবেশে শেখ হাসিনা কীভাবে যুক্ত হবেন, ভারত জানে`
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম
যুক্তরাজ্যে আগামী ৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একটি বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন শেখ হাসিনা। তিনি কীভাবে এ সুযোগ পাচ্ছেন এটা ভারত বলতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
রফিকুল আলম বলেন, ‘‘আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, এরকম একটা রাজনৈতিক মিটিং আছে। উনি (শেখ হাসিনা) বক্তৃতা দেবেন। আপনারা যেরকম জানেন আমরাও সেরকম জানি। কীভাবে এটা ফেসিলেটেড হচ্ছে এটা আমার বক্তব্য দেওয়ার বিষয় না। তিনি ভারতে আছেন, ভারত সরকার কীভাবে এটা হ্যান্ডেল করছেন, তারা এটা ভালো বলতে পারবেন।’’
মুখপাত্র বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বহুমাত্রিক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় আছে। দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্কে বাংলাদেশ ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয় দলের অধীনে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।’’
রফিকুল আলম বলেন, ‘‘আমাদের পাঁচ দশকের সম্পর্ক পর্যালোচনা করলে এটা সহজে অনুমান করা যায়, ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন হলেও এর সঙ্গে তাদের পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলগত অবস্থান এবং জাতীয় লক্ষ্যসমূহ অনেক সময় অপরিবর্তিত থাকে। আমরা পূর্বেও ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈপরীত্যে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’’
ইউরোপিয় দেশগুলোর দূতাবাস স্থাপনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘‘ঢাকায় অবস্থিত মোট ৫১টি দূতাবাসের মধ্যে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্কসহ মোট ১৩টি ইউরোপের। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে স্থাপনের বিষয়টি একান্তই সেসব দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে, শিক্ষার্থীসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাত্রা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সর্বস্তরের আলোচনায় বাংলাদেশে ইউরোপিয় দেশসমূহের দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উত্থাপন করা হচ্ছে।’’
ঢাকা/হাসান/সাইফ