ঢাকা     বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩২

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা নিয়ে সেমিনার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪  
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা নিয়ে সেমিনার

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে রাজধানীতে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলিয়ার। গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম।

সেমিনারে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেবল একটি প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, বরং বিচার বিভাগের সাথে জড়িত সকলের নৈতিক বাধ্যবাধকতা।’’

সেমিনারে প্রধান বিচারপতির প্রণীত বিচার বিভাগের রোডম্যাপে নৈতিকতা, দক্ষতা, জনমুখী বিচার ব্যবস্থা ও বিচারকার্যে নিয়োজিত জনবলের পারদর্শিতা বৃদ্ধিতে আলোকপাত করা হয়।

রোডম্যাপ বাস্তবায়নের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর, প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ পেশ করেন, যা জনগণের ত্যাগ এবং বিপ্লব-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামরত লক্ষ লক্ষ মানুষের আকাঙ্ক্ষার অনুরণনে তৈরি হয়। বিচার বিভাগের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান বিচারপতি বিপ্লবের কেন্দ্রীয় দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন, ‘‘আমরা ন্যায়বিচার চাই।’’

তিনি আরো জানান, প্রধান বিচারপতির রোডম্যাপ তিনটি মূল নীতিকে তুলে ধরা হয়েছে- ন্যায়বিচার ও জনগণের আস্থার নিশ্চয়তা; আইনের শাসন, ক্ষমতার পৃথকীকরণ, সাংবিধানিকতা এবং উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতার নিশ্চয়তা। এটি বাস্তবায়নে তিনটি মেয়াদের কথা প্রস্তাব করা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদী সংস্কার (৬ মাস থেকে ১ বছর সময়), মধ্য-মেয়াদী সংস্কার (এক থেকে দুই বছর) এবং দুই থেকে চার বছর সময়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার।

সেমিনারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারির বিচারকবৃন্দ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ও আইন কমিশনে নিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়