ঢাকা     বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৩ ১৪৩১

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২২, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪  
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা ভয়েসের আয়োজনে আলোচনা সভায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে ভয়েসের নিজস্ব কার্যালয়ে ‘নারীর অধিকার ও মানবাধিকার: প্রযুক্তির সাহায্যে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়েছে।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘‘মানবাধিকার রক্ষার্থে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ প্রয়োজন। জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও মিডিয়া স্বাক্ষরতা সম্পৃক্ত বিষয়গুলোকে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’’

আরো পড়ুন:

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আমরা দেখতে পাই বাস্তব জীবনের পাশাপাশি আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে নারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের ফলে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একটি গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সহিংসতার মধ্যে, নারীরা আপত্তিকর, ইঙ্গিতপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক উক্তি দ্বারা সবচেয়ে বেশি নাজেহাল হয়ে থাকেন। প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ নারীর এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই বছর, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়েআর ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা গেছে, আশঙ্কাজানক হারে বর্তমানে নারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছেন। ৬০% নারী এই ধরনের হ্যাকিং এর সম্মুখীন হয়েছেন।’’

সভায় উপস্থিত নারীরা বলেন, ‘‘ডিজিটাল সহিংসতার আশংকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে পড়েন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে সাইবার বুলিং, স্টকিং, অনলাইন হয়রানি, ডক্সিং, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে বানানো আপত্তিজনক ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে যা নারীদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পেশাগত ভাবমূর্তিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করছে। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে পরিচয় গোপন রাখার সুবিধা থাকায় অপরাধীরা এসব গর্হিত কাজ করতে উৎসাহ পাচ্ছে, কিন্তু ভুক্তভোগীদের পরিচয় প্রকাশ্যে চলে আসছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, এই ধরনের বিষয়গুলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং দিনদিন এর মাত্রা বেড়ে চলছে।’’

সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, নারী ও মানবাধিকারকর্মীরা।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়