পার্বত্যবাসীকে আরো বেশি পারদর্শী হতে হবে: উপদেষ্টা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘‘পরিবেশ সুরক্ষায় ৪০ শতাংশ অক্সিজেন পাওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা থেকে। এর মধ্যে আমাদের খাদ্য পাওয়া যায় ২২ শতাংশ গাছপালা থেকে। বাকি ৭৮ ভাগ গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।’’
কঠিন এই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, নিজেদের গুণগত মান, দক্ষতা ও ক্ষমতায়ন বাড়ানোসহ উদ্ভাবনী শক্তিতে পারদর্শী হওয়ার জন্য পার্বত্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই উপদেষ্টা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের সেমিনার হলে ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকর উপাদান।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাঁশকে কৃষিজসম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় কিনা, তা ভেবে দেখা উচিত। উপদেষ্টা বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে আমাদের আরো যত্নশীল হতে হবে। নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রাখা ও ব্যবহারের আরও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া বের করা দরকার। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় খুব বেশি সচেতন হতে হবে।’’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার মহোত্তম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পর্বতমালার সমাধান-উদ্ভাবন, অভিযোজন ও যুবসমাজ’।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উদযাপন করে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর আগে, উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনের পঞ্চম তলায় জাদুঘর ও সংগ্রহশালা শুভ উদ্বোধন করেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ