বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অবদান অনস্বীকার্য: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অবদান অনস্বীকার্য। এ লক্ষ্যে অভিবাসী কর্মীদের পাশাপাশি প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতি, কল্যাণ, অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই কর্মকাঠামো প্রয়োজন।’’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে Foundation for law and development (FLAD) এর চেয়ারপারসন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাউজা করিম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধিত) আইন ২০২৩ অনুযায়ী অভিবাসী কর্মীদের জন্য পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ এবং ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড আইন ২০১৮ অনুযায়ী প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা, পুনর্বাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সহায়তা প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের স্বীকৃতি, কল্যাণ, সুরক্ষা এবং আর্থ-সামাজিকভাবে পুনর্বাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীতি প্রণয়নের কাজ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ও অভিবাসী কর্মী যিনি বিদেশে কর্মস্থল হতে ছুটিতে বা অবকাশ যাপনের জন্য সাময়িকভাবে অবস্থানের উদ্দেশ্য ছাড়া দেশে ফেরত এসে স্থায়ীয়ভাবে বসবাস করলে বা বিদেশে নতুনভাবে কোনো কর্মে যোগদানের উদ্দেশ্যে পুনঃগমনের পূর্বে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে অবস্থান করলে তিনি প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মী হিসেবে গণ্য হবেন। অভিবাসীদের জন্য পুনরায় একত্রীকরণ একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আগ্রহী প্রত্যাগত অভিবাসীকর্মী প্রয়োজন বা চাহিদার ভিত্তিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল ধারায় সংযুক্ত থেকে তার জীবনমানে টেকসই উন্নয়ন করাতে পারেন।বিশেষ করে দক্ষতা অনুযায়ী অভিবাসী নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা করাই মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য।’’
ঢাকা/এএএম/এসবি