শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্যরা
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড়ে পিজি হাসপাতালে সামনে অবস্থান নেন গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্যরা। এ কর্মসূচির কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের দাবিগুলো হলো:
১) প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ:
আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বিষয়ে সরকারের যেকোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে আজ থেকে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
২) রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, শহীদদের স্মরণে দিবস ঘোষণা এবং স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় তথ্য-উপাত্ত ও নথিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণসহ প্রচারমূলক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আহত ও শহীদদের নির্ভুল তালিকা সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করে স্মার্ট কার্ড ও প্রশংসাপত্র দিতে হবে।
৩) আজীবন সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ:
দেশ-বিদেশে আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
আহত ও শহীদ পরিবারের সুচিকিৎসা ও তাদের চিকিৎসার সব খরচ অতিশিগগির দিতে হবে।
আহত ও শহীদ পরিবারের চিকিৎসাব্যয় রাষ্ট্রকে আজীবন বহন করতে হবে।
৪) গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ:
আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণকারী ও হামলাকারীসহ এর সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
খুনিদের প্ররোচনাকারী ও সহযোগীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে।
৫) নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
আহত ও শহীদ পরিবারের আজীবন নিরাপত্তা দিতে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৬) পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান:
আহত ও শহীদ পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাধীন স্বতন্ত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থান কল্যাণ ট্রাস্ট/স্বতন্ত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আহত ও শহীদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও মর্যাদা বজায় রেখে এককালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতি শহীদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা ও প্রতিজন আহতকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে।
আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী/আজীবন পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও চাকরি করতে সক্ষমদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) ক্যাটাগরি বাতিল:
আহতদেরকে বিভাজন না করে সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আজীবন সম্মানজনক পেনশন চালু করতে হবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয় তুলে ধরার উদ্যোগ নিতে হবে এবং খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক