টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ: আহত একজনের ৪০ দিন পর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
গাজীপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৪০ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। তার নাম মিজানুর রহমান (৪১)। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে মিজানুর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়। বাবার নাম ছবির উদ্দিন।
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে জোবায়ের ও সাদ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তখন ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন অনেকে। মিজানুরকে নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হলো।
মিজানুরের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী। এই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার ইজতেমার মাঠে দুইপক্ষের সংঘর্ষে মিজানুর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
মিজানুরের ভগ্নিপতি মোসাদ্দেকুল হক বলেন, “মিজানুর পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।”
এদিকে মিজানুরের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন সাদপন্থীরা। বিবৃতিতে বলা হয়, মিজানুর সাদপন্থী ছিলেন।
বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দাওয়াতি কার্যক্রম নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। একটির নেতৃত্বে আছেন ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিনের মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও তার সমর্থকেরা। অন্যটি সাদের বিরোধীপক্ষ।এর নেতৃত্বে রয়েছেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে।”
ঢাকা/এসবি