যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু সানীর
গত মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২৮ উইকেট নিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ হয়ে যায় নাঈম হাসানের। ২৩ উইকেট নিয়ে নাঈমের পরই ছিলেন আরাফাত সানী। কিন্তু আরাফাত সানীকে নিয়ে আলোচনা হয়না কোন!
কেন-ই বা হবে, তার নামের পাশে তো যুক্ত হয়েছে সীমিত পরিসরের ট্যাগ! যেখান থেকে এখনও বের হতে পারেননি সানী। অথচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তার অভিজ্ঞতা ও অর্জন একেবারেই কম নয়। ৭৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সানীর উইকেট ২৯১টি। গতবার যেখানে শেষ করেছিলেন এবার সেখান থেকেই শুরু।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় শুক্রবার চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে সানীর শিকার ৬ উইকেট। তিন’শ উইকেটের খুব কাছে চলে গেছেন এ ক্রিকেটার। তবুও সাদা পোশাকে জাতীয় দল নিয়ে ভাবতে সাহস পাননা এ ক্রিকেটার। তবে ৫ বা তার বেশি উইকেট পাওয়া যে আনন্দের তা লুকাতে পারেননা ৩৩ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার, ‘৫ উইকেট পাওয়া সত্যি সবসময়ই আনন্দের। পরিকল্পনা যেটা থাকে চারদিনের ম্যাচে সবসময় উইকেট টু উইকেট বল করা, চেষ্টা করছি সেটা করার। হয়ত সেই ধারাবাহিকতা পেয়েছি সফলতা।’
গতবারের মতো এবারও শীর্ষে তার লক্ষ্য তার,‘মৌসুম শেষে আমি যেন উইকেট শিকারের দিক থেকে সেরা তিনের মধ্যে থাকতে পারি এটাই আমার লক্ষ্য। এটা হলে নিজেকে নিয়ে গর্ব হবে। সেভাবেই পরিকল্পনা করেছি।’
তামিমকে নিয়ে ভালো পরিকল্পনায় বোলিং করেছেন সানী। লেগ সাইড ও শর্ট লেগে ফিল্ডার রেখে তামিমকে সহজে রান নিতে দেননি। মিডল স্ট্যাম্পের ওপর বল ফেলে বারবার ভুগিয়েছেন। জানালেন তামিমকে আটকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল তার।
‘আমি চাচ্ছিলাম ওকে আটকে রাখার জন্য। ওকে প্যানিক করার চেষ্টা করেছি। ও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের। যতটুকু ওকে আটকে রাখতে পারি, ও শট খেলুক…নিজে থেকে রান দিবোনা। চেষ্টা করতেছিলাম ওকে প্যানিক করে কিছু একটা করার জন্য। যেন উইকেটটা ও নিজেই আমাকে উপহার দেয়। ও ভালো ব্যাটিং করেছে। কোন তাড়াহুড়ো করেনি। অনেক আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যাট করছে। উইকেটে কিন্তু সহজেই শট খেলা যাচ্ছিলনা। ও উইকেট অনুযায়ী ভালো ব্যাট করেছে।’ – বলেছেন ঢাকা মেট্রোর এ স্পিনার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন