ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ড্র ম্যাচে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১৩ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ড্র ম্যাচে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহ

প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে ৩ উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ের ‍সুযোগ পেয়ে হাঁকিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তার হাতে ম্যাচ সেরার আকর্ষণীয় ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় লিগের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম। মিরপুরে ড্র হয়েছে ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যাচ।

২০১৫ সালের পর এবারই প্রথম জাতীয় লিগ খেলতে নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠে নেমেই রাখলেন অবদান।  দলকে দিলেন ড্রয়ের স্বাদ।

তবে আজ শেষ দিনের শুরুতে সবার চোখ ছিল ঢাকা মেট্রোর দুই ব্যাটসম্যান শহিদুল ইসলাম ও জাবিদ হোসেনের ওপর। দুজন সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু দুজনই হতাশ করেন।  আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ১ রান যোগ করে শহিদুল আউট হন ৮৩ রানে। জাবিদ হোসেন যোগ করেন মাত্র ৪ রান। ৮৫ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। শেষ ৩ উইকেটে ঢাকা মেট্রো আজ চতুর্থ দিনে যোগ করে মাত্র ৫ রান। চট্টগ্রামের ২৯০ রানের জবাবে ৩৫৪ রানে শেষ হয় ঢাকা মেট্রোর ইনিংস।

৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম বিভাগের দুই ওপেনার আবার দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। এবার তামিম ইকবালের সঙ্গী পিনাক ঘোষ। ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। প্রথম ইনিংসের থেকে তামিমের দ্বিতীয় ইনিংসটি ছিল অনেকটাই গোছানো। উইকেটের চারপাশে শট খেলেছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। আরেক বাঁহাতি পিনাকও ছিলেন দুর্দান্ত। দ্রুতই তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। তাদের ফেরানোর উত্তর জানা ছিল মাহমুদউল্লাহর। ছোট্ট এক স্পেলে মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ৩ উইকেট পান।

শুরুটা পিনাককে দিয়ে। তার শর্ট বলে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ৫৭ রান করা পিনাক। পরের বলে মুমিনুল হক ক্যাচ দেন আল-আমিনের হাতে।  মাহমুদউল্লাহকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন তাসামুল হক। তবে এক ওভার পর ফিরে এসে তামিমকে ফিরিয়ে তৃতীয় সাফল্য পান ডানহাতি অফ স্পিনার। ১১২ বলে ৪৬ রানে তামিম এলবিডব্লিউ হন জাতীয় দলের সতীর্থের বলে। প্রথম ইনিংসেও তাকে ফিরিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৪ চার ও ১ ছক্কায় তামিম সাজান নিজের ইনিংসটি। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে আরাফাত সানী নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের উইকেট।

এরপর চট্টগ্রামের ইনিংস মেরামত করেন তাসামুল ও মাসুম খান। দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তাদের ব্যাটে ড্রয়ের পথে এগিয়ে যায় ম্যাচ। হাফ সেঞ্চুরির পর তাসামুল ৫৩ রানে ফিরলেও মাসুম খান ড্রয়ের আগ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ৬১ রানে। নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা আগে দুই দল ড্র মেনে নেয়। ৫ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২২৭ রান।

১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ড। ফতুল্লায় খেলবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ। বগুড়ায় মাঠে নামবে ঢাকা মেট্রো ও সিলেট।


ঢাকা/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়