মাদারীপুর-৩
বেদে পল্লিতে হামলার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খানের নেতৃত্বে বেদে পল্লিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ফলে ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন বেদে পল্লীর শতাধিক পরিবার।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বেদে পল্লির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তারা দাবি করেন, মাদারীপুর-৩ আসনে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি টানা দুই দিন বেদে পল্লির ১৭টি বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কর্মী-সমর্থকরা। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্জনা বেগম বাদী হয়ে ১০ জানুয়ারি ৪২ জনের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, কালকিনি থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। গ্রেপ্তার করছে না অপরাধীদের।
এদিকে, হামলার ঘটনার পর বেদে পল্লি পরিদর্শণ করেছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেদে পল্লির সরদার মনির হোসেন বলেন, একসঙ্গে কয়েকশ মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ঘর থেকে সবকিছু নিয়ে গেছে তারা। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি আসবাবপত্র, খাবারের চাল-ডালও বাদ পড়েনি। পা ধরে তাদের নিষেধ করলেও কেউ শোনেনি আমাদের কথা। হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি বাকামিন খান ও তার ভাই রাশেদ খান। আমরা এর বিচার চাই।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খান। তিনি বলেন, আমি আসার আগেই দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। আমি থামানোর চেষ্টা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সত্য নয়।
কালকিনি থানার ওসি (তদন্ত) মারগুব তৌহিদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তাহমিনা বেগম জয়লাভ করেন। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপ।
বেলাল/মাসুদ