দুর্গাপূজা থেকে সর্বজনীন দুর্গোৎসব
সেবার শুনেছিলাম, গুলশান মাঠে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হবে; সেবারই প্রথম; একটি সংকলনও বেরুবে। পরে অনুমতিসহ নানা বিঘ্ন ঘটায় তাঁরা গুলশান মাঠে পূজা করতে পারেন নি বটে, পূজা করেছিলেন গুলশানের পাশেই বনানীর কামাল আতাতুর্ক রোড সংলগ্ন মাঠে। পরিবারের সবাই মিলে পূজা দেখতে গিয়েছিলাম। প্রকাশিত সংকলন ‘বোধন’ পড়ে দেখলাম- তাঁদের পূজা-আয়োজন কমিটিতে আছেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষ। সেখানে শুধু পূজাই হয় নি, পূজাকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছিল নানা প্রতিযোগিতা এবং অনুষ্ঠানের। এতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে জাতপাত বা ধর্মের কোনো বাধা ছিল না। পূজা সেখানে উৎসবে রূপ নেয়; এ উৎসব সবার!
দুর্গা পূজার শাস্ত্রীয় একটা দিক আছে। শাস্ত্রীয় গ্রন্থ থেকে তুলে দিই: ‘মহিষাসুর দেবগণকে স্বর্গ হইতে তাড়াইয়া দিয়া স্বর্গরাজ্য অধিকার করেন। দেবগণ বিপন্ন হইয়া ব্রহ্মার শরণ লন। ব্রহ্মা দেবতাদিগকে সঙ্গে করিয়া মহাদেবের নিকট উপস্থিত হন এবং মহেশ্বরের নিকট দেবতাদিগের দুর্দশা বর্ণন করেন। মহাদেব ক্রুদ্ধ হইলেন; তাঁহার বদন হইতে এক তেজ নির্গত হইল। ব্রহ্মাও অন্যান্য দেবগণের মুখ হইতে এক তেজোরাশি নির্গত হইল। সমবেত তেজোরাশি এক রমণী মূর্তি পরিগ্রহ করিল। দেবতাগণ স্ব স্ব আয়ুধ এই রমণীকে প্রদান করেন। এই দেবীই মহিষাসুরকে তিনবার নিধন করেন। প্রথমবার উগ্রচণ্ডারূপে, দ্বিতীয়বার ভদ্রকালীরূপে ও তৃতীয়বার দুর্গারূপে।’
বিভিন্ন শাস্ত্রীয় গ্রন্থে দুর্গার আবির্ভাবের কথা নানা ভাষায় বর্ণনা করা হলেও মূল বক্তব্য এই। এই বক্তব্য অনুসারে কিন্তু দুর্গা ঐক্যের প্রতীক বা দুর্গা ঐক্যবদ্ধ মিলিতশক্তি। অন্যভাবে বলা যায়, ঐক্যের সাধনাই দুর্গার সাধনা। উৎসবও মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। সে দিক থেকে দুর্গা পূজার আর এক নামই তো উৎসব!
দুর্গার পূজা থেকে উৎসব এক দিনে হয় নি। দুর্গাপূজা যে আজ সর্বজনীন উৎসব সে কথা আমার বাল্যবন্ধু বিমল, মিলন, আশিষের সঙ্গে রওশনেরও ঠিক মনে আছে নিশ্চয়। রওশন এখন আর মো. রওশন আলম নয়, সে নামটা একটু পাল্টিয়ে হয়েছে আসাদুজ্জামান রওশন। আমাদের এলাকায় আজ বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ বলে সবাই তাকে চেনে। যে ছোট্ট জেলা শহরে আমি বেড়ে উঠেছি, এখনো সেখানে পঁচিশের ওপরে পুজো মণ্ডপ হয়, সে দিনও হতো। ছেলেবেলাতে রওশনকে মনেই করতে দেই নি যে- ওটা ওর উৎসব নয়। অথবা ও ছিল বলে আমাদেরও মনে হয় নি দুর্গোৎসব শুধু হিন্দুদের। পূজাতে নতুন জুতো-কাপড় ছাড়া আর সব প্রাপ্তিই ঘটেছে ওর। ছেলেবেলায় জামা-জুতো কেনা ওর নিজ হাতে ছিল না। কিন্তু আর কোনো আনন্দে ঘাটতি ওর হয় নি।
মনে পড়ে, পূজার যে কোনো এক দিন সকালে দল বেঁধে আমরা রেস্টুরেন্টে যেতাম; রাতে রেস্টুরেন্টে খেয়ে তবে ঘরে ফেরা! শখ করে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার শুরুটা হয়েছিল দুর্গোৎসবেই। প্রতি রাতে এক সঙ্গে বন্ধুরা দল বেঁধে পুজো দেখতে বের হতাম। এ সময় দিনে বসতো মেলা, বাহারি আর লোভনীয় অনেক কিছুই সেখানে থাকতো। এলাকার তিনটি সিনেমা হল পাল্লা দিয়ে নতুন ছবি মুক্তি দিতো পুজোতে। ছবি দেখাও চাই আমাদের। হল থেকে বের হতাম ঘাম আর অন্যের টানা সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ সর্বাঙ্গে মেখে। অবশ্য পূজা উপলক্ষ্যে লুকিয়ে আমরা যে এক-দুই কাঠি ঠোঁটে তুলতাম না এমন নয়। তবে সেটাও আয়োজন করে। ছাই রঙের স্লিম ‘মোর’-এর ঠান্ডা পরশ এখনো মুখগহ্বরে অনুভব করি; ছেলেবেলার স্মৃতি কতোই না কাতর করে মানুষকে!
পুরাণে রামের অকাল বোধন থেকে বিশ শতকের আটের দশকের রওশনসহ আমাদের দুর্গাপূজা সত্যি কি এক? রাম করেছিলেন শাস্ত্রীয় বিধি অনুসারে। তাঁর মনে একটি বিশেষ আকাঙ্ক্ষাও ছিল। একশ আটটি নীল পদ্মের মধ্যে একটি কম হলো বলে তিনি নিজের চোখ উপড়ে দিতে চাইলেন দেবী দুর্গার পাদপদ্মে! আজ সে রকম ব্যক্তিগত কোনো মনোবাঞ্ছা নিয়ে কেউ দুর্গাপূজা করে বলে মনে হয় না। বাবাকে দেখেছি ধুতি পরে সকালেই রঘুনাথ মন্দিরের দুর্গা পুজোতে উচ্চস্বরে চণ্ডীমন্ত্র আওড়াতে। জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম, পূজার সময় এটি করতে তাঁর ভালো লাগে। তাঁর সঙ্গে প্রথম প্রথম দু’এক পূজাতে অঞ্জলিও দিয়েছি, মনে পড়ে। কিন্তু কলেজে যাবার পরই আমি দড়ি ছেঁড়া। বন্ধুরা মিলে আমরা দুর্গা পূজায় টৈ টৈ করে ঘুরেছি, রেস্টুরেন্টে গিয়েছি, মুরগি-পোলাও খেয়েছি, সিনেমা দেখেছি, কাশতে কাশতে সিগারেটও টেনেছি দু’একটি। আয়োজন আর অংশগ্রহণই বলে দেয়, রাম আর আমাদের পূজাতে পার্থক্য ঘটে গেছে। এই পার্থক্যকে পরিবর্তন বলা ভালো। কীভাবে দেখবো এই পরিবর্তন?
অবাঙালি হিন্দুদের কাছে রাম যতোটা পূজিত, বাঙালি হিন্দুদের কাছে ততোটা নন। কিন্তু বাঙালিরাই রামের সেই অকালবোধনকে অনেক বড় করে পালন করে। তারা অবশ্য সময়-পরম্পরায় দুর্গা পুজোকে সর্বজনীন করে ফেলেছে। ধর্মের শাঁসটুকু রেখেই একে নিয়ে এসেছে ধর্মের ঊর্ধ্বে। তাই দুর্গা ‘পূজা’ থেকে আজ ‘উৎসবে’ পরিণত। ইতিহাসে দেখা যায়, দুর্গা পুজোটা মূলত সীমাবদ্ধ ছিল ব্যক্তি বা পরিবারের মধ্যে। লক্ষ্মী বা সরস্বতী পুজোর মতো এর ব্যাপকতা ছিল না অর্থনৈতিক কারণে। দুর্গাপূজা করতে অনেক আয়োজন করতে হয়। চলেও চার-পাঁচ দিন ধরে। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলে এ পূজা করা সম্ভব নয়। যাদের ঘরে চাল বাড়ন্ত, চার-পাঁচ দিনের পুজো তাদের চলবে কেন? অনেক দেব-দেবীর একত্র অধিষ্ঠান বলে এখানে পূজার সংখ্যাও বেশি। মহাদেব-লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশের পাশে পূজা পায় কলা-বৌও। এমন কি মহিষাসুরকেও পূজা দিতে হয় (মহিষাসুর পরাজয়ের আগে দেবীর বর চেয়ে নিয়েছিল এই বলে যে, দুর্গার সঙ্গে মানুষ তাকেও যেন পূজা দেয়)। ফলে এই মহা-আয়োজন করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। ব্রিটিশ আমলে প্রতি গ্রামের দু’তিন ঘর সম্পন্ন পরিবার এই পূজা করতো। দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষেরাও আনন্দ পেয়েছে বটে, তবে সেটা প্রসাদ-পাবার আনন্দ; বাদ্য-বাজনা শোনার আনন্দ- দূর থেকে দেখার আনন্দ! কামার-কুমোরেরা এটা-ওটা বানিয়েছে বিক্রি করার জন্য। সম্পন্ন পরিবারের সন্তানেরা অর্থনৈতিক কারণে নতুন যুগের হাতছানিতে এগিয়ে যায়। তারা ব্যবসা বা লেখাপড়াতে নিবিষ্ট হয়। সে-সূত্রে বাড়ির বাইরে, অন্যত্র অবস্থান বা প্রতিষ্ঠা ঘটে তাদের। দেখা গেছে, পারিবারিকভাবে দুর্গাপূজা হওয়ায় পূজার সময় সেই সব পরিবারের সন্তানেরা বাড়িতে একত্রিত হয়। এ থেকেই ঐক্য ধরে রাখে পরিবারটি। অবশ্য একই বড় পরিবারে একাধিক পূজাও হয়েছে; ইতিহাস সে সাক্ষ্য দেয়। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক একটা প্রতিযোগিতার ভাবও গড়ে ওঠে তাদের। আবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভিন্ন সংসার করেছে এমন ভাইয়েরা যৌথভাবে দুর্গা পূজা করেছে, এমন উদাহরণও বিরল নয়। যে ভাবেই দেখা যাক না কেন, দুর্গাপুজো তাদের পরিবার বা সংসারের সদস্যদের মধ্যে ঐক্য স্থাপনই করে। সাধারণ অস্বচ্ছল হিন্দু এবং মুসলিমরা এর মূল আয়োজন থেকে দূরে থেকেছে। পূজা করার সঙ্গতি সাধারণ হিন্দুরা রাখতো না; সম্পন্নদের ভয়ে সে সাহসও হারিয়েছিল বোধ হয়। কিন্তু অফিস, স্কুল, কলেজ দীর্ঘ দিন ছুটি থাকতো পূজা উপলক্ষে। সে কারণে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসতো সাধারণ মানুষ। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বাড়ির নারী ও শিশুরা যে বেড়াতে যেতো বা নাইয়র করতো আর পুজোর সময়ে পূজা-বাড়িতে ভিড় করে রাখতো, একশ বছর আগেও এ চিত্র ছিল স্বাভাবিক। দুর্গাপূজা তারা না করতে পারলেও এই পূজা থেকে তারা নিজেদের বিযুক্ত ভাবতো না কখনো। উৎসবের আবহ থাকতো সবার মনেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সর্বগ্রাসী অর্থনৈতিক মন্দা ভাব এবং এর অব্যবহিত পরে ভারতীয় রাজনীতিতে বিষবৃক্ষ দ্বি-জাতিতত্ত্বের ‘মাকাল’ চাষের কারণে বাঙালি অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে ব্যাপক ভাঙন ঘটায়। সম্পন্ন বহু হিন্দু পরিবারের পূর্ববঙ্গ ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ জীবনযাপন করা- ইতিহাসের সে এক করুণ অধ্যায়! পরে সাধারণ হিন্দুদের অনেকে বাসভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ ধারা অব্যাহত থাকে। যে সব সম্পন্ন পরিবার এ দেশে থেকে যায়, তাদের বেশির ভাগ নিজেদের নিরাপত্তা এবং শাসক-সম্প্রদায়ের নিপীড়নের কারণে পূজা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এ-অবস্থায় দুরু দুরু বক্ষের অস্বচ্ছল কিন্তু উদ্যোগীদের আগ্রহে বারোয়ারি দুর্গা পূজার প্রচলন ঘটে এবং তা আর শুধু সম্পন্নদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। আগে অস্বচ্ছলদের পক্ষে পূজার আয়োজন করা সম্ভব হতো না। এরপর সম্মিলিতভাবে পূজার আয়োজনও তারা করে। পশ্চিমবঙ্গেও পূর্ববঙ্গ থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষের আগ্রহ এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের ফলে বারোয়ারি দুর্গা পূজার প্রসার ঘটে। এভাবেই যে পূজা এক সময় কোনো পরিবারের ঐক্য স্থাপনে ভূমিকা রেখেছে, সেই পূজা একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধন দৃঢ়তর করতে ভূমিকা রাখে।
সময় অতিক্রান্তির সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি সমাজে মুসলিম মধ্যবিত্তের বিকাশ ঘটে। লেখাপড়া এবং আর্থিকভাবে অনেকে খুবই এগিয়ে যায়। চিন্তাতেও এগিয়ে আসে কেউ কেউ। তাই পরে দেখা গেছে, দুর্গা যখন বারোয়ারিভাবে পূজিত হন, তার জন্যে চাঁদা বা অন্য আয়োজনে জাত-পাত নির্বিশেষে হিন্দুদের নানা বর্ণের যেমন অংশগ্রহণ থেকেছে, তেমনি অনেক অহিন্দুও এতে অংশ নেয়। শাস্ত্রীয় পর্বটুকু বাদে পুরো দিনের আয়োজন হয়ে ওঠে সর্বধর্মের মানুষের। এভাবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক পূজা মণ্ডপ পাওয়া যাবে, যেখানে সব জাত-পাতের হিন্দু এবং মুসলিমদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ আছে।
দুর্গাপূজা যে সর্বজনীন হতে পেরেছে এর একটি কারণ সবাইকে সাদরে গ্রহণ করার মানসিকতা এবং অন্যতম প্রধান কারণ আহার-আয়োজন। খাদ্যকে কোনো উৎসব থেকে পৃথক করা যায় না। দুর্গাপূজা যখন ব্যক্তি-পর্যায়ে হতো তখন কেউ কেউ মোষ বলি দিতেন। অসুরের প্রতীক মোষ। বলির মাংস সব ধর্মের লোকের কাছে গ্রহণীয় নয়। বারোয়ারি দুর্গা পূজাতে মোষ বলি উঠে গেল। শুধু মোষ বলি নয়, বলিই উঠে গেল। পূজাতে এক সময় নানা ধরনের নাড়ু-বড়িসহ অন্নাহারের ব্যবস্থা হয়েছে; আজ প্যাকেট ও প্যাকেজ-প্রসাদের প্রচলন দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ যুগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া আর কি! যে অনুষ্ঠানে অন্য ধর্মে নিষেধ বা আপত্তি আছে এমন কোনো মাংস বা খাদ্যের প্রাধান্য বা বাড়াবাড়ি থাকে সেই অনুষ্ঠান বা উৎসব সর্বজনীন হতে পারবে না।-এই সমাজ-পরীক্ষাতেও দুর্গাপূজা উত্তীর্ণ। দুর্গাপূজার প্রসাদ-আয়োজন আজ যে-কোনো ধর্মের মানুষ চোখ বন্ধ করে গ্রহণ করতে পারে এবং করেও।
এভাবেই পূজা উৎসবে রূপ নেয়; দুর্গাপূজা হয় দুর্গা উৎসব- সর্বজনীন দুর্গোৎসব। একটি শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানও যে যুগের অনুবেদনা ও উল্লাস ধারণ করে সম্প্রদায়-বিশেষ থেকে সব মানুষের জন্য কল্যাণকর ও অংশগ্রহণমূলক উৎসবে পরিণত হতে পারে- দুর্গোৎসব তার বড় প্রমাণ। যাদের জীবনে উৎসব নেই তাদের বাঁচা-মরা সমান। বাঙালি-জীবনে সম্মিলিত উৎসবের দিন এমনিতেই কম। জাতি হিসেবে বাঙালি দীর্ঘায়ু পেতে পারে এই উৎসব-আয়োজনকে আরো নিবিড় ও অধিকতর সর্বজনীন করার মাধ্যমেই।
লেখক: অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরো পড়ুন:
* অপরাজিতা পুষ্পে অপরাজিতার অর্চনা ॥ বিপ্রদাশ বড়ুয়া
* দুর্গাদেবীর উৎস সন্ধানে || অজয় রায়
* দুর্গোৎসবের সর্বজনীন ও বৈপ্লবিক তাৎপর্য || যতীন সরকার
* দুর্গাপূজার উদ্ভব ও বিকাশ || তপন চক্রবর্তী
ঢাকা/তারা