শেখ হাসিনার স্বদেশযাত্রা: কী ট্র্যাজিক কী মহাকাব্যিক: ৪র্থ পর্ব
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে একাত্তরের হানাদাররা ছিল সুদূর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত ভিন্ন ভাষার ভিন্ন জাতের ভিন্ন ধাঁচের কিছু মানুষ— যাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শের ও জীবনাচরণের বিন্দুমাত্র মিল ছিল না। দ্বিজাতিতত্ত্বের একমাত্র যে-ঢালটি মিলনের সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল তার মধ্যেও ছিল শত ছিদ্র ও বিস্তর বৈসাদৃশ্য। তাহলে নীতি-আদর্শহীন— পবিত্র ইসলাম ধর্মের চরম অপব্যাখ্যা ও অপব্যবহারকারী বর্বর প্রকৃতির সেই মানুষগুলোর সঙ্গে বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণকারী পঁচাত্তরের ঘাতকদের এমন মিল ঘটলো কীভাবে? এ মিল অবশ্যই কাকতালীয় নয়। শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এ মিলও আদর্শের। সেই আদর্শ হলো বর্বরতার, সেই আদর্শ হলো মানুষহত্যার, সেই আদর্শ হলো ধর্মের নামে চরম অধর্মের— যা জন্মলগ্ন থেকে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। আর পঁচাত্তরের ঘাতকরা সেই পাকিস্তানি ভাবাদর্শকেই শিরোধার্য করেছিল।
ঘাতকরা মুখে যাই বলুক না কেন, সপরিবারে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা যে মূলত একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। বস্তুত বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুহত্যার পরবর্তী মুহূর্ত থেকেই তার অজস্র আলামত স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল। প্রবলভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশবিরোধী দেশিবিদেশি চক্র। তাদেরই সহায়তায় বাংলাদেশকে আরেকটি ‘মিনি পাকিস্তানে’ পরিণত করার জন্য সম্ভাব্য সব কিছুই করেছিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ঘাতক ও তাদের পৃষ্ঠপোষকচক্র। সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছিল। ছুড়ে ফেলা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি ও আদর্শকে। একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতক-দালালদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে চতুরতার সঙ্গে চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হয়েছিল বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবের যে অর্জন সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি। সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। সবকিছুই করা হয়েছিল ঠান্ডা মাথায়। সুপরিকল্পিতভাবে।
শুরু করেছিলেন ক্ষমতা জবরদখলকারী সেনা কর্মকর্তা লে. জে. জিয়াউর রহমান। তিনিই ছিলেন ‘নাটের গুরু’। চক্রান্তের অন্যতম প্রধান কুশীলব হলেও কার্যত ধূর্ত, ভীরু ও উচ্চাভিলাষী মোশতাক ছিলেন শিখণ্ডি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী খুনিরা একাধিক সাক্ষাৎকারে তা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহেও তার অকাট্য স্বাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে।৩৫
পলাশীর প্রান্তরে যেমন নীরবে দাঁড়িয়েছিল নবাবের সৈন্যরা সেনাপতির গোপন ইশারায়— ১৯৭৫ (সালের) এদিনও নীরব ছিল তারা, যারা বঙ্গবন্ধুর একান্ত কাছের, যাদেরকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন, বিশ্বাস করে ক্ষমতা দিয়েছিলেন— যাদের হাতে ক্ষমতা ছিল তাদের এতটুকু সক্রিয়তা বা ইচ্ছা অথবা নির্দেশ বাঁচাতে পারত বঙ্গবন্ধুকে— খন্দকার মোশতাকের ইশারায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল তারা, এগিয়ে এল না সাহায্য করতে।
এ বেদনা এ হাহাকার কখনো মুছে যাবার নয়। আর এটা যে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনার একার বেদনা একার হাহাকার নয় তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। হাতে গোনা কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা (তার মধ্যে বরখাস্তকৃত একাধিক কর্মকর্তাও ছিলেন) অস্ত্র হাতে গট গট করে সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে এসে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করে বীরদর্পে বেরিয়ে গেলেন— অঙ্কটা যে এত সরল নয় তা বোঝার জন্য গণিতবিশারদ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। প্রথমত, দেশের রাষ্ট্রপতিকে রক্ষার এবং দ্বিতীয়ত, তাঁকে হত্যা করার পর সাংবিধানিকভাবে তা প্রতিহত করার দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত ছিল তারা— সেই সশস্ত্র বাহিনী, সেই প্রশাসন, সেই মন্ত্রিবর্গ, সেই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দল— সেদিন ও পরবর্তীকালে কী ভূমিকা নিয়েছিল তার চুলচেরা হিসাব নেওয়ার সময় কিন্তু বয়ে যাচ্ছে!
প্রথমে মোশতাক, তারপর পর্যায়ক্রমে জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে যে পাকিস্তানি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, ধর্মান্ধতা ও অপরাজনীতির ভাগাড়ে পরিণত করেছিলেন, দেশে ফেরার পরপরই শেখ হাসিনাকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল পর্বতপ্রমাণ সেই জঞ্জালের। তাঁকেই স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল সেই ‘ময়লা সাফ’ করার গুরুভার। চোখের জলে ১৯৮১ সালে যার সূচনা হয়েছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে:৩৬
দুহাতে ময়লা সাফ করেছি আর চোখের পানি ফেলেছি। শুধু মনে হয়েছে এই জন্যই কি বেঁচে ছিলাম। কি দুর্ভাগ্য আমার। সবাই চলে গেল। আমি হতভাগিনী শুধু চোখের জলে ভাসছি আর এই বেদনা-যন্ত্রণা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে কষ্টে দম বন্ধ হয়ে যেত।
১১
বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাড়িটিই যেন হয়ে উঠেছিল ঘাতকলাঞ্ছিত সমগ্র বাংলাদেশের প্রতীক। সেই ১৯৮১ থেকে ২০২১— দীর্ঘ চার চারটি দশক ধরে চলছে শেখ হাসিনার এ অনিঃশেষ স্বদেশযাত্রা। পঁচাত্তর ও একাত্তরের ঘাতকদের সৃষ্ট জঞ্জালের নিচে চাপা পড়া বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত-বেদিশা স্বদেশকে উদ্ধারের যাত্রা। স্বামীহারা বেহুলাকে পাড়ি দিতে হয়েছিল ক্ষীণতনু গাঙুরের ঘোলা জল, আর পিতৃহারা পরিবারহারা শেখ হাসিনাকে পাড়ি দিতে হচ্ছে গর্জমান এক রক্তসমুদ্র। বেহুলার একমাত্র লক্ষ্য ছিল প্রয়াত স্বামীর পুনরুজ্জীবন; আর শেখ হাসিনার কাঁধে যেন গোটা পৃথিবীর গুরুভার! ছলে-বলে-কৌশলে টানা ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে। আবার ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে চমকপ্রদ সাফল্য ও বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও আবারও ক্ষমতার বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে সুপরিকল্পিতভাবে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জয়-পরাজয় স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে তা হয়নি। যা হয়েছে তা হলো পঁচাত্তরের ষড়যন্ত্রেরই পুনরাবৃত্তি। একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দেশিবিদেশি মিত্ররা সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল যাতে বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় ফিরে আসতে না পারেন। এটা নিছক ক্ষমতার পটপরিবর্তনের বিষয় ছিল না, এর সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি বিষয়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— প্রথমত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনা; দ্বিতীয়ত, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো; তৃতীয়ত, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত মুক্তির সংগ্রাম সফল করা এবং সর্বোপরি, জাতির পিতার সোনার বাংলার স্বপ্নের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
অতএব, এটি বোধগম্য যে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা না-থাকার সঙ্গে একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতক-দালালসহ বাংলাদেশবিরোধী শক্তির অস্তিত্বের প্রশ্নও জড়িত ছিল। তাই যে কোনো মূল্যে তাঁকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল তারা। সাময়িকভাবে তারা সফলও হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যার পেছনে জনজোয়ার যত ফুলেফেঁপে উঠছিল তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার পারদও ততই চড়ছিল। অতএব, এবার আঁটঘাট বেঁধে শুরু হয় পঁচাত্তরের কায়দায় শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে নির্বিচার গুলি বর্ষণ করা হয় তাতে ৩০ জন নেতাকর্মী নিজের জীবন দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল তাদের প্রিয় নেত্রীর। কমপক্ষে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়ে তাঁকে। এতে তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৬ জন নেতাকর্মী। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।৩৭
সর্বশেষ চেষ্টাটি হয় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। সেদিন দলীয় একটি সভা চলছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে। ট্রাকের ওপর তৈরি করা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ঠিক তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে চারপাশ থেকে শুরু হয় গ্রেনেড বৃষ্টি। হাতে বানানো যেনতেন বোমা নয়, এটি ছিল ‘আর্জেস গ্রেনেড’— যা ব্যবহৃত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। বর্বরোচিত এ হামলায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। পঁচাত্তরের মতোই আবারও রক্তবন্যা বয়ে যায় ঘটনাস্থলে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত সেই মারাত্মক গ্রেনেডের স্পিন্টারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান দলটির আরও দুই শতাধিক নেতা-কর্মী। এবারও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। দলের নেতারা মানববর্ম তৈরি করে আবারও রক্ষা করেন তাদের প্রিয় নেত্রীকে।
তখনই এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে এর সঙ্গে রাষ্ট্রের যোগসূত্রতা আছে। নিবিড় সম্পৃক্ততা আছে সেই সময়ে ক্ষমতাসীন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। পরবর্তীকালে তদন্তেও তা প্রমাণিত হয়। দেশবাসীর জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্যটি ছিল এ হত্যা-ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সেই সময়ে ক্ষমতার দ্বিতীয় কেন্দ্র বলে বিবেচিত ‘হাওয়া ভবন’-এর সম্পৃক্ততা। এও জানা যায় যে সরকারপ্রধান বিষয়টি জানতেন। ঠিক পঁচাত্তরের মতোই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশে ঘাতকদের কয়েকজন নিরাপদে দেশত্যাগে সক্ষম হয়। এত বড় বিপর্যয় সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকন্যা দমে যাননি। হাল ছাড়েননি তাঁর জীবনপণ সংকল্পের। তিনি লিখেছেন:৩৮
আমি নেতা নই। সাধারণ মেয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার একজন কর্মী। বাংলার দুঃখী মানুষের জন্যে প্রয়োজন হলে এই সংগ্রামে পিতার মতো আমি জীবনদান করতে প্রস্তুত।
১২
জীবন পণ করে আজও তিনি বেয়ে চলেছেন পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নের তরী। লক্ষ্য সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। থেমে নেই বাংলাদেশবিরোধী দেশিবিদেশি মহলের নানা কূটচাল। উপর্যুপরি হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা বেছে নেয় নতুন কৌশল। সেটি হলো বঙ্গবন্ধুকন্যার ভাবমূর্তি হনন এবং তা এখন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার কিছুটা আভাস পাওয়া যায় সামাাজিক মাধ্যমগুলোতে। নানা সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের মাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করা, তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা— যেমনটি তারা করেছিল জাতির পিতার বিরুদ্ধে। তারই দুএকটি উদাহরণ এখানে তুলে ধরা যেতে পারে।
বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তাদের গ্রহণযোগ্যতায় যখন ধস নেমেছে, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের প্রতীক হিসেবে ‘হাওয়া ভবন’ যখন দেশেবিদেশে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ঠিক তখনই সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। তাদের ছত্রছায়ায় ক্ষমতা গ্রহণ করে একটি দীর্ঘমেয়াদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি দমনের নামে ব্যাপক ধকপাকড় শুরু করে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বিএনপি-জামায়াত নয়, প্রথম আক্রমণটা হয় শেখ হাসিনার ওপর— যিনি তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও ঘাতকের হাতে নিহত জাতির পিতার কন্যা হিসেবে নিজেই নিপীড়িত:৩৯
বিএনপির কাছ থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রুদ্ররোষ পড়ে আমার উপর। বিএনপি সরকার আগেই আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দিয়েছিল। এবার তার সঙ্গে যোগ হলো আরও আধা ডজন মামলা আর কারাবাস। (চলবে)
তথসূত্র
৩৫. শেখ হাসিনা, “ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড”, ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-৪২
৩৬. শেখ হাসিনা, “স্মৃতি বড় মধুর, স্মৃতি বড় বেদনার” ঐ, পৃষ্ঠা ৭৪
৩৭. বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১২ অক্টোবর ২০১৮
৩৮. শেখ হাসিনা, ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, উদ্ধৃত, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-১৭-১৮
৩৯. শেখ হাসিনা, “প্রণব দাদা: বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। পরিচালক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র
ঢাকা/তারা