আবুল হাসনাত: প্রতিষ্ঠান ছিল যার সাধনা
আবুল হাসনাত
আবুল হাসনাত সম্পাদিত পত্রিকা ‘কালি ও কলম’র তরফে তরুণ লিখিয়েদের জন্য প্রবর্তন করা হয় ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’।
২০০৮ সালে প্রবর্তিত পুরস্কার শুরুর দিকে বহুজাতিক একটা কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে দেয়া হলেও পরে একক উদ্যোগে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। আবুল হাসনাত বেঁচে থাকতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একটা বিষয় প্রায়শ উচ্চারিত হতো। পুরস্কারপ্রাপ্ত তরুণ কবি নিজের অনুভূতি প্রকাশে হাজির করতেন কমন একটা অভিযোগ। কালি ও কলম পুরস্কার পাওয়াটা উনার জন্য ভীষণ আনন্দের হলেও বেদনার বিষয় হলো ‘কালি ও কলম’ পত্রিকা কখনো উনার লেখা প্রকাশ করেননি। বেদনার এই অভিজ্ঞতা বিনিময় করার শানে নযুল হলো সম্পাদক আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছোঁড়া।
তরুণ কবি বুঝতে অপারগ যে, কবিতা প্রকাশ আর কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কার পাওয়া দুটো আসলে দুই বিষয়। পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে সম্পাদকের কোনো প্রকার ভূমিকা নেই, যদি থাকে সেটা খুবই গৌণ, ধর্তব্যের মধ্যে না-রাখাই যুক্তিযুক্ত ও শ্রেয়। পুরস্কার প্রদান করা হয় বিচারকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক। উনাদের সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত হয় কে বা কারা পাচ্ছেন ওই বছরের পুরস্কার। কবিতা প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদক হিসেবে উনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কবিতা দিয়েই বিচারের ক্ষমতা রাখেন কোন কবিতা প্রকাশিত হবে আর কোন কবিতা প্রত্যাখ্যাত হবে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত কোনো লেখক-কবি-সাহিত্যিকের বিপক্ষে যেতেই পারে। সেটাই সত্য, সম্পাদকীয়তার বাস্তবতা ও প্রসাদ গুণ। সম্পাদকের বিবেচনায় লেখক নয়, লেখা মুখ্য ভূমিকা পালন করে যে, আদৌ সেটা আলোর মুখ দেখবে, নাকি অমনোনীত হবে। লেখক বিবেচনায় নিয়ে প্রকৃতি সাহিত্য সম্পাদক কখনোই সম্পাকীয়তার বাছ-বিচার নিয়ে করেন না।
আবুল হাসনাত ছিলেন অন্য ধাতুতে গড়া সম্পাদক। ফি-বছরের ওই সব অভিযোগ যে উনি ধর্তব্য জ্ঞান করেননি, তার প্রমাণ মেলে একই অভিযোগ একাধিকবার উচ্চারিত হওয়ায়। আবুল হাসনাতের সম্পাদকীয়তার সৌন্দর্য এখানেই। গল্প কবিতা প্রবন্ধ সেটা যাই-ই হোক না কেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কখনোই দ্বিধান্বিত কিংবা সংশয়িত ছিলেন না। বরং যারা এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং মান্যতা দেন, উভয়ই বিষয়টা গুলিয়ে ফেলেন এবং আবেগবশত একটা অভিযোগ হাজির করেন।
আবুল হাসনাত সাহিত্য পাতা ও সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনার ক্ষেত্রে নিজেকে কিংবদন্তীর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। উনার অবর্তমানে এ সময়ে এসে ওরকম তুলনীয় দ্বিতীয়জন কোথায়? ‘সংবাদ’-এর সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা করেছেন আড়াই দশক। কালি ও কলমের দায়িত্বে ছিলেন দেড় যুগ। এসবেরও আগে যুক্ত ছিলেন গণসাহিত্য সম্পাদনার সঙ্গে। সাংবাদিকতা-সম্পাদকীয়তায় আবুল হাসনাত নানা কারণে বিশেষভাবে স্মরণীয় ও বরণীয়। আমাদের সংবাদপত্র জগতে এরকম কীর্তিমানের সংখ্যা অপ্রতুল, কিন্তু অনুপস্থিত নয়। তিনি যে কারণে ব্যতিক্রম ও বিরলপ্রজদের অন্তর্ভুক্ত, তার দৃশ্যমান উপস্থিতি মিলেছে খুব কম প্রতিভাধরদের মধ্যেই।
আবুল হাসনাত প্রতিষ্ঠানপ্রেমী ছিলেন। এই প্রেম ছিল তার সাধনার মন্ত্রতুল্য। তিনি প্রতিষ্ঠানকে বড়ো করতে চেয়েছেন। সারা জীবন বুঁদ হয়ে ছিলেন প্রতিষ্ঠানকে বড়ো করার সাধনায়। মনে প্রাণে চাইতেন প্রতিষ্ঠান বড়ো হোক। এবং এই প্রত্যয় বাস্তবায়নে নিজের নিবেদন যতটা দেওয়া সম্ভব, তার পুরোটা পূরণে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। নিজের কাজ দিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হেঁটেছেন নিরলস এক যোদ্ধার ভূমিকায়। নিজেকে ছাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানকে বড়ো করার গুণ আবুল হাসনাতকে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্রসত্তায় দাঁড় করিয়েছে।
বাঙালির প্রতিষ্ঠান ভাবনায় একটা সংকটের উপস্থিতি দীর্ঘদিনের। এ কারণে আমাদের শতায়ু প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। অথচ প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠলে ব্যক্তির বিকাশ দুরুহ হয়। প্রতিষ্ঠানের বাইরে যখন কারও বিকাশ ও নির্মিতি সম্ভব হয় তখন সেটা সন্দেহাতীতভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিশেষ। একারণে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং ন্যায্যতার সঙ্গে পরিচালনার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠান যদি দাঁড়িয়ে যায় এবং নিয়ম কানুনে, নৈতিকতার পরিচয় দেয়, তাহলে ব্যক্তির বিকাশ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে যায় এবং সেটা নিশ্চিতও হয়। আমেরিকায় ট্রাম্পের বিদায়ের আগে নানামুখী সংকট হাজির হলেও শেষাবধি যে গণতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত হলো, তার পেছনে মুখ্য কারণ দেশটিতে প্রবলভাবে প্রাতিষ্ঠানিকতার চর্চা জারি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শক্তিই তার গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি কেবল গণতন্ত্রকে সংহত করে না, ব্যক্তি-সমাজ ও রাষ্ট্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত করে। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি জীবনমানেও স্বস্তি ও স্বাধীনতা এনে দেয়। বেদনা ও পরিহাসের বিষয় হলো, আমাদের এখানে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভ্যাস নেই। আঙুলের কড়ে গুণে এক প্রজন্মের কাছাকাছি কিংবা তার চেয়ে একটু বেশি বয়সী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে আশা জাগানিয়া সেসব প্রতিষ্ঠানেও প্রাতিষ্ঠানিকতার চর্চা প্রত্যাশিত মাত্রার নয়। ভক্তিবাদও সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় বাধা। আবুল হাসনাতের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সাধনাকে আমরা যদি গভীরভাবে অবলোকন করি, তাহলে স্পষ্টরূপে ধরা দেয় প্রতিষ্ঠানের শক্তির ওপর তার আস্থা ও প্রতীতী। খুব বড় পরিসরে বিকশিত করার মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উনার যোগসূত্র ছিল না। এই সত্যকে মান্যতা দিয়েই বলতে হয়, প্রতিষ্ঠান ছোট কিংবা বড়’র চেয়ে উনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কাজ। সেই কাজ তিনি এমনভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন যার মধ্যে দিয়ে প্রকৃতার্থে প্রতিষ্ঠানই বিকশিত হয়েছে। সময় পরিক্রমায় হয়েছে দিবালোকের মতো সত্য। প্রতিষ্ঠান বড়ো হয়েছে, আবুল হাসনাতও কীর্তিমান হয়েছেন।
‘সংবাদ’ দৈনিক পত্রিকা হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে পালন করেছে উজ্জ্বল ভূমিকা, যা সর্বজনকর্তৃক স্বীকৃত ও প্রশংসিত। কিন্তু একথা তো সত্যি, সংবাদ এর ‘সাহিত্য সাময়িকী’ মূল পত্রিকার চেয়েও গুণ-মান ও জনপ্রিয়তা বিচারে এগিয়ে ছিল। সংবাদ ‘সাহিত্য সাময়িকী’র এই যে অর্জন এর পেছনে মালিক পক্ষ, সম্পাদক-প্রকাশক ও সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলেরই ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। যা আমলে নেয়ার পরও এই সত্য সর্বজনবিদিত যে, এই অর্জন সম্ভব হয়েছে আবুল হাসনাতের সাহিত্য সম্পাদকীয়তার বিরল নিষ্ঠা- প্রেম ও প্রতিভার মিশেলে। উনার সাধনার শক্তি এতটাই উচ্চকিত ছিল যে, নির্দিষ্ট একটা কক্ষের দায়িত্বে থেকেও পুরো স্থাপনাকেই করেছেন আলোকিত। সাহিত্য সাময়িকীর কারণেই সংবাদ-এর গ্রহণযোগ্যতা ও পাঠকপ্রিয়তা ক্রম বর্ধিষ্ণু হয়েছে।
সাহিত্য সাময়িকীর মতো করে একই অভিমত ‘কালি ও কলম’ পত্রিকার ক্ষেত্রেও উচ্চারণ করা যায়। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন নানা কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষণা করে আসছে। ‘কালি ও কলম’ তাদের অনেকগুলো কার্যক্রমের একটি। আবুল হাসনাতের সম্পাদকীয়তার প্রসাদগুণে পত্রিকাটি হয়ে উঠেছিল বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান কার্যক্রম। দেশে শুধু নয়, পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় এবং বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষি মানুষের মাঝেও পত্রিকাটি বিশেষ সমীহ ও প্রশংসার জায়গা করে নিয়েছিল।
আবুল হাসনাতের অভিভাবকত্বে উপর্যুক্ত অর্জন সম্ভব হওয়ার এষণায় প্রধানত একটা কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি প্রতিষ্ঠানকে কখনোই নিজের কিংবা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে কাজে লাগাননি। প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত লাভের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেননি। উনি যখন ‘সংবাদ’র সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে খ্যাতির মধ্যগগণে তখন দেশে পত্রিকার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। সংবাদ ‘সাহিত্য সাময়িকী’ অপ্রতিদ্বন্দ্বি এক প্লাটফর্ম। বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা উন্মুখ হয়ে থাকতেন লেখা প্রকাশের জন্য। চাহিবামাত্র তো বটেই, উপঢৌকন দিয়েও সুযোগ খোঁজা ব্যক্তির অভাব ছিল না। কিন্তু তিনি সে পথে হাঁটেননি। লেখা নির্বাচনে পালন করেছেন সত্যপুত্র যুধিষ্ঠিরের ভূমিকা। প্রকৃত লেখকদের সঙ্গে উনার ছিল হার্দিক সম্পর্ক। প্রয়োজনীয় লেখাটি যোগ্য লেখক দিয়ে লিখিয়ে নিতে উনার জুড়ি ছিল না। পাশাপাশি এটাও জানতেন এবং সর্বদা মেনে চলতেন লেখক-সম্পাদক সম্পর্ক আদৌ কতটুকু হওয়ার আর কতোটা হওয়ার নয়। লেখক-সম্পাদক সম্পর্কে সেতুবন্ধ থাকা জরুরি আবার দূরত্ব থাকাটাও অপরিহার্য। আবুল হাসনাত এই জায়গাটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। লেখক, তা তিনি যতই জনপ্রিয় কিংবা ক্ষমতাধরই হন না কেন, উনি যেন সাহিত্য সম্পাদককে পরিচালিত করার ধৃষ্টতা কিংবা বাঞ্ছা প্রকাশ না করেন, সেই সাহস- যোগ্যতা-নৈতিকতা ও অপ্রিয় হওয়ার ঝুঁকে নেয়ার ক্ষমতায় পারঙ্গম ছিলেন তিনি।
এ কারণে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে সিকান্দার আবু জাফর, আহসান হাবীবের সমতুল্য ও কিংবদন্তী খ্যাতি অর্জন করলেও উনার ওপর গোস্বা করার লেখক-কবি-সাহিত্যিকের সংখ্যাও কম ছিল না। নন্দিত হলেও নিন্দিতও ছিলেন, যা জ্যেষ্ঠ দুই কিংবদন্তীর ক্ষেত্রে তেমন নেই।
আবুল হাসনাতের সাধনা, প্রতিষ্ঠান প্রেম, ও সম্পাদকীয়তার সাহস ও সৌন্দর্যকে আবিষ্কার ও অন্বেষণ করতে হলে ‘গোস্বা’ ও ‘নিন্দিত’ হওয়ার কার্যকারণ বিশ্লেষণ করতে হবে। ওরকম ‘গোস্বা’ ও ‘নিন্দিত’ হওয়াকে উপেক্ষা করতে পেরেছেন বলেই আবুল হাসনাত স্বাধীন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সাময়িকী, সাহিত্য ম্যাগাজিনের একজন সার্থক সম্পাদক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।
আবুল হাসনাত কবিতা লিখতেন। কবি নাম ছিল মাহমুদ আল জামান। ‘জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক’, ‘কোনো একদিন ভুবনডাঙায়’, ‘ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বিড়াল’ উনার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখেছেন, ‘ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়’, ‘টুকু ও সমুদ্রের গল্প’, ‘যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুরে’, ‘রানুর দুঃখ-ভালোবাসা’ প্রভৃতি গ্রন্থ। ‘টুকু ও সমুদ্রের গল্প’র জন্য ১৯৮২ সালে পান অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার। শিল্প সমালোচনা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে অর্জন করেছিলেন নিজস্ব এক শৈলী। ‘সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর ও অন্যান্য’ এবং জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন ও অন্যান্য’ গ্রন্থ যার উজ্জ্বল প্রতিভূ।
আবুল হাসনাতের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেন। আয়ুষ্কাল ছিল ৭৫ বছর। ২০২০ সালের ১ নভেম্বর মারা যান। বামপন্থা ও প্রগতির প্রতি নিবেদিত ছিলেন আমৃত্যু। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। শেষ পর্যন্ত উচ্চকিত ছিল উনার কবি ও সম্পাদক জীবন। এক্ষেত্রেও এগিয়ে রেখেছিলেন সম্পাদকীয় সত্তাকে, যার মধ্যে দিয়ে তিনি মূলত বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। বিশ্বাস করতেন যে জাতির বড় বড় প্রতিষ্ঠান নেই সেই জাতি- সেই দেশ বিশ্বসভায় মাথা তুলে দাঁড়াতেও পারেন না।
আবুল হাসনাত ওরফে মাহমুদ আল জামান কবি ও লেখক জীবনকে সম্পাদকের জীবনের সঙ্গে জড়াননি কখনোই। দুটোকে আলাদা রেখেই মিটিয়েছেন যার যার প্রেম ও প্রত্যাশা। সাধন করেছেন ব্যক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য। পূরণ করেছেন জীবনের লক্ষ্য। পূর্ণতা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের চাওয়া পাওয়া। যার মধ্যে দিয়ে দেশ ও জাতি পেয়েছে দিশা। প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে নতুন প্রজন্ম।
লেখক: সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গবেষক
/তারা/